নতুন ছবিতে ঝড় তুললেন শ্রুতি দাস

মডেল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করলেও পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের (Srijit Mukherji) ‘এক্স প্রেম’ দিয়ে টলিউডে পা রাখেন শ্রুতি দাস (Shruti Das)। কেরিয়ারের প্রথমে বড় ব্রেক পাওয়ায় জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রুতির হটনেস রীতিমতো ঘাম ঝরাবে। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে রয়েছে একাধিক হট ফটো। অভিনেত্রীর কিলার ফিগার দেখলে ঘুম উড়ে যায় নেটিজেনদের। নয়া ছবি পোস্ট করে শীতের মরসুমে উষ্ণতা বাড়লেন শ্রুতি। শ্রুতি দুটি ছবি পোস্ট করেছেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, অভিনেত্রী লাল সোফাতে উপুড় হয়ে শুয়ে। শরীরে নেই একটুও সুতো সঙ্গে হালকা মেকআপ। মেদহীন খোলা পিঠ আর হাতে ধরা গুলজারের বই। এই ছবি পোস্ট করে শ্রুতি ক্যাপশনে লেখেন, জিন্দেগি গুলজার হ্যায়…। এরপর লাল রঙের হার্ট ইমোজি দিয়েছেন। শ্রুতির বোল্ড লুকে ঘায়েল পুরুষরা। View this post on Instagram A post shared by Shruti Das (@shrutidasofficial)
বাবা হলেন অক্ষর প্যাটেল

বাবা হলেন ভারতীয় স্পিনার, অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল। ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ দম্পতির কোল আলো করে আসে পুত্র সন্তান। নিজের ইনস্টাগ্রাম ফিডে অক্ষর একটি পোস্ট করে তার অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে এই সুখবরটি দেন। পোস্টটিতে দেখা যায় একটি ভারতীয় জার্সি এবং তার একপাশে অক্ষরের স্ত্রীয়ের একটি আঙ্গুল ধরে আছে ছোট্ট একটি আঙ্গুল, অপর পাশে অক্ষরের একটি আঙুলও সমানভাবে ধরে আছে একটি সদ্যজাতর হাত। পোস্টটিতে লেখা, ‘ ও এখনও পা দিয়ে অফসাইড ঠিক করার চেষ্টা করছে। কিন্তু গোটা বিশ্বের সঙ্গে ওর পরিচয় করানোর লোভ আমরা আর সামলাতে পারলাম না। এই দুনিয়ায় তোমাকে স্বাগত হক্স প্যাটেল। ভারতীয় ক্রিকেট দলের ক্ষুদ্রতম তথাপি সবথেকে বড় ফ্যান। আর আমাদের হৃদয়ের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ১৯-১২-২০২৪ ‘। অক্ষরের এই পোস্ট দেখেই স্পষ্ট বাড়ির খুদে সদস্যের নাম রাখা হয়েছে হক্স। উল্লেখ্য, বক্সিং ডে ম্যাচের তালিকা প্রকাশ করার আগেই সাংবাদিক বৈঠকে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক হিটম্যান রোহিত শর্মা জানিয়েছিলেন এই সিরিজে পাওয়া যাবেনা অক্ষরকে। এমনকি তাঁকে পুরো বর্ডার – গাভাস্কার সিরিজেও দেখা যায়নি। কারণ তিনি পৃতিত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। যা থেকে তখনই আভাস পাওয়া গেছে তিনি শীঘ্রই বাবা হতে চলেছেন। বাড়িতে আসতে চলেছে নতুন সদস্য। আর এবার সুখবরের কথা নিজেই জানালেন অক্ষর সোশ্যাল মিডিয়াতে।
উইকেন্ডে ফের বৃষ্টি?

বছর শেষের আগে আবার হাওয়া বদল। আপাতত দুই দিন স্বাভাবিকের উপরে থাকবে তাপমাত্রা। সপ্তাহান্তে ফের সামান্য বাড়তে পারে। তবে রবিবারের পর নামবে পারদ। শীতবিলাসীদের জন্য একেবারেই সুখবর নয়, তাপমাত্রা কমলেও জাঁকিয়ে শীতের পরিস্থিতি এ বছরে নেই। তবে বর্ষশেষ ও বর্ষবরণে ফিরবে শীতের আমেজ। কলকাতার (Kolkata) আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.২ ডিগ্রি। বুধবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪.৬ ডিগ্রি। ২০২৪ সালের শেষ সপ্তাহান্তে রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। শনিবার হালকা বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) তিন জেলাতে। প্রভাব পড়তে পারে আশেপাশের দুই একটি জেলাতেও। হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলাতে। এদিকে উত্তরবঙ্গে (North Bengal) উইকেন্ডে তুষারপাতের সম্ভাবনা। এই সময় যাঁরা দার্জিলিং থাকবেন, সেই সমস্ত পর্যটকদের জন্য নিশ্চয়ই তা সুখবর। শনিবার দার্জিলিংয়ের উঁচু পার্বত্য এলাকায় তুষারপাতের সম্ভাবনা। শনিবার বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতে। এদিকে শৈত্যপ্রবাহের কবলে উত্তর ভারত (North India)। দিল্লি-এনসিআর (Delhi-NCR) এলাকায় ঘন কুয়াশার দাপট অব্যাহত। কুয়াশার কারণে সতর্কতা জারি করেছে দিল্লি বিমানবন্দর। তবে বিমান চলাচল এখনও স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে উৎসবের সময়ে দুর্ভোগ সহ্য করতে হবে না যাত্রীদের। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার সময় দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা ছিল ৫০০ মিটার। এই দৃশ্যমানতায় সিএটি-৩ ক্যাটেগরির বিমানের অবতরণ করতে অসুবিধা হয় না।
কোন দেশ পালন করে ইংরেজি নববর্ষ?

গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর আমরা পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাই। এটি সৌর বছরের উপর ভিত্তি করে তৈরি একটি পঞ্জিকা, যা দীর্ঘ বিবর্তনের মধ্য দিয়ে বর্তমানে ব্যবহৃত কাঠামোটি পেয়েছে। যদিও বেশিরভাগ দেশ গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার মেনে চলে, কিছু দেশ এখনও এই পঞ্জিকা গ্রহণ করেনি। আমাদের পরিচিত ইংরেজি সালই আসলে এই গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকা। বিশ্বের বেশ কিছু দেশ তাদের নিজস্ব ক্যালেন্ডার অনুযায়ী চলার রীতি বজায় রেখেছে। উত্তর কোরিয়া, সৌদি আরব, নেপাল, ইরান, ইথিওপিয়া, এবং আফগানিস্তান তাদের নিজস্ব পঞ্জিকা অনুসরণ করে। ইসরায়েল গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার করলেও ইংরেজি নববর্ষ পালন করে না। এছাড়া আরব দেশগুলিতে ১ জানুয়ারি নববর্ষ শুরু হয় না। ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং তিউনিসিয়ায় নববর্ষ শুরু হয় আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে। চীন এবং ইতালিতে এই তারিখ আরও ভিন্ন, যথাক্রমে মার্চ এবং নভেম্বরে। উত্তর কোরিয়ার পঞ্জিকা একেবারে আলাদা। তাদের ক্যালেন্ডারের সূচনা ১৯১২ সালে, যা উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল-সুং-এর জন্মের বছর। তাদের হিসেবে, আমাদের ২০১৮ সাল হলো তাদের ১০৭ সাল। ফলে ২০১৯ সালটি তাদের জন্য ১০৮ সাল হিসেবে পালিত হচ্ছে। এটি তাদের ঐতিহ্য এবং জাতিগত গর্বের পরিচায়ক। চীনেও রয়েছে নিজস্ব ক্যালেন্ডার, যা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তার দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে। যদিও গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার তাদের অফিসিয়াল কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়, নিজস্ব পঞ্জিকাটি বিশেষ ধর্মীয় ও ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চীনের এই পঞ্জিকা চন্দ্রবর্ষের উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং এর জনপ্রিয়তা আজও অটুট। ইহুদি ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলিও তাদের নিজস্ব ক্যালেন্ডার মেনে চলে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। এবারই প্রথম সৌদি আরবে কিছু অঞ্চলে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে, যা ঐতিহ্যগতভাবে এই দেশে দেখা যায় না। এ ঘটনাটি প্রমাণ করে যে, সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে ক্যালেন্ডারের গুরুত্ব এবং সংস্কৃতির মেলবন্ধন নতুন রূপ পাচ্ছে।