বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলন ফেব্রুয়ারিতে

২০২৫-এর ৫ এবং ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলন হচ্ছে।বৃহস্পতিবার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মমতা জানিয়েছেন, কালীঘাটের স্কাইওয়াকের কাজ শেষ হলেই উদ্বোধন হবে সেটি। জগন্নাথ ধাম উদ্বোধন নিয়েও আশাবাদী তিনি। এবারের বইমেলা নিয়েও শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মমতা জানান, গ্রামের দিকেও মেলা হয়। পৌষমেলা, পিঠেপুলি মেলা, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নানা মেলা, কৃষিমেলা এরকম নানান মেলা রয়েছে। এইসব মেলা থেকেও ভালো টাকা উপার্জন হয় বলে জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বড়দিন থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত নানারকম মেলা হয়ে থাকে। প্রচুর মানুষ কেনাকাটি করে। গ্রামীণ হস্তশিল্প, অন্যান্য সামগ্রীর বিক্রিবাটা হয়। মমতা ব্যানার্জি বলেন, উৎসবকে কেন্দ্র করেই আমাদের ব্যবসা বৃদ্ধি হয়। দেখতে ছোট হলেও, দোকানদারের আয় অনেক বড়। দেশের অর্থনীতির স্তম্ভ দোকানদাররা।
জেলায় জেলায় শপিং মল, ক্যাফে!

বছর শেষে বড় ঘোষণা। বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্ন সভাগৃহ থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) ঘোষণা করলেন, এবার জেলায় জেলায় তৈরি হবে শপিং মল। উদ্যোগপতিদের জমির ব্যবস্থা করে দেবে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, শপিং মলগুলি দুটি তল পৃথকভাবে রাখতে হবে স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য ও আর্টিজানদের জন্য। ফলে জেলায় জেলায় স্থানীয় স্তরের অর্থনীতি মজবুত হবে বলে আশা প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর। কলকাতা ও শহরতলীর আশেপাশে আধুনিক শপিং মলের মতোই জেলার শপিং মলে থাকবে ক্যাফেটেরিয়া ও রেস্তোরাঁ। থাকবে আধুনিক সিনেমা হল। ফলে জেলাস্তরে বাড়বে বাংলা ছবির ডিস্ট্রিবিউশন। শপিং মলের জন্য জমি ধার্য করে দেবে রাজ্য সরকার। এদিন ২৪ পরগনার আওতায় থাকা আলিপুর চিড়িয়াখানার উল্টোদিকের খালি জমিতে একটি শপিং মল তৈরির কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি সংগ্রহশালার উল্টোদিকের জমিতে চামড়াজাত দ্রব্যের একটি সরাসরি বিক্রয় কেন্দ্রের কথাও ঘোষণা করেন। সেখানেই তৈরি হবে বাংলার শাড়ির বিক্রয় কেন্দ্র। তাঁতশিল্পীরা এখানে তাদের তৈরি পণ্য সামগ্রী বিক্রয় করতে পারবে।
জরিমানা হল কোহলির

শাস্তি পেলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। অস্ট্রেলীয় ওপেনার স্যাম কনস্টাসকে (Sam Konstas) কাঁধ দিয়ে ধাক্কা মারায় ম্যাচ ফি-র ২০ শতাংশ জরিমানা হল তাঁর। আরও বড় শাস্তি পেতে পারতেন, নিষিদ্ধ হতে পারতেন সিডনি টেস্ট থেকে, তবে ২০ শতাংশ জরিমানা দিয়েই অব্যাহতি পেলেন তিনি। প্রথম দিনের খেলার পর ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের (Andy Pycroft) সামনে উপস্থিত হতে হয় কোহলিকে। ১০ মিনিট বৈঠকের পর আইসিসির (ICC) কোড অফ কন্টাক্ট অনুযায়ী অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। ফিজিক্যাল কন্ট্যাক্ট-এর দায়ে সবথেকে কম লেভেল-১ অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন কোহলি। এদিনের ঘটনার পর চাউর হয়ে গিয়েছিল, এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে চলেছেন ভারতের তারকা ব্যাটার। ইচ্ছাকৃত শারীরিক সংঘর্ষের ক্ষেত্রে তাকে লেভেল-২ অপরাধ বলে গণ্য করা হয় যার ফলে কোনও খেলোয়াড় তিন থেকে চার ডি-মেরিট পয়েন্ট পায়। ২৪ মাসের মধ্যে কোনও খেলোয়াড় চারটে ডি-মেরিট পয়েন্ট পেলে একটি টেস্ট ম্যাচ অথবা দুটি সীমিত ওভারের ম্যাচ থেকে নিষিদ্ধ হতে হয়। ১০ এবং ১১তম ওভারের মাঝে ওপেনিং পার্টনার উসমান খোয়াজার সঙ্গে কথা বলতে পিচের এক ধার ধরে হাঁটছিলেন কনস্টাস। স্লিপ পোজিশন থেকে হাঁটতে হাঁটতে এসে তাঁর কাঁধে হাল্কা ধাক্কা লাগান কোহলি। স্বভাবতই ক্ষুব্ধ হন কনস্টাস। কোহলি এমন ভাব দেখান যেন তিনি ইচ্ছে করে কিছু করেননি, তাঁর দোষই নয়। কিন্তু রিকি পন্টিংয়ের মতো ব্যক্তিত্ব বলছেন এটা ইচ্ছাকৃত। রবীন্দ্র জাদেজার বলে আউট হওয়ার আগে আটটি চার এবং দুটি ছয়ের সাহায্যে ৮৫ বলে ৬০ রান করে গিয়েছেন কনস্টাস।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং প্রয়াত

ওয়েব ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, দেশের অর্থনৈতিক উদারীকরণের পুরোধাপুরুষ মনমোহন সিংহ (Manmohan Singh) প্রয়াত। বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। এদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে। বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস(AIIMS)-এ এমারজেন্সি ডিপার্টমেন্টে ভর্তি করা হয় ৯২ বছরের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। দিল্লি এমসের তরফে জানানো হয়েছে, বয়সজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার বাড়িতেই হঠাৎ সংজ্ঞা হারান তিনি। রাত ৮টা ৬ মিনিটে তাঁকে দিল্লি এমসের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসক দলের সবরকম চেষ্টার পরেও তাঁকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। রাত ৯টা ৫১ মিনিটে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছে দিল্লি এমস। উল্লেখ্য, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মনমোহন সিং। চলতি বছরের শুরুতে রাজ্যসভার সাংসদ পদের মেয়াদ শেষে রাজনৈতিক পথচলায় ইতি টানেন তিনি। টানা ৩৩ বছর রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। ভারতের একমাত্র শিখ প্রধানমন্ত্রী হলেন মনমোহন সিং। অর্থনীতির অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৮২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৮৫ সালের ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরও ছিলেন। তারপর ১৯৯১ সালের জুনে পিভি নরসিং রাওয়ের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। এর চারমাস পর রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন।