রূপমের ‘ঝাপসা শহর’

রূপমের কণ্ঠে নতুন গান ‘ঝাপসা শহর’। চালচিত্র (Chalchitra) ছবির দ্বিতীয় গান ঝাপসা শহর। শান্তি নেই শহরে, নিশ্চিন্ত ঘুম উড়েছে কলকাতাবাসীর। চারিদিকতে আতঙ্ক। এমন পরিস্থিতিতে রূপম ইসলামের (Rupam Islam) কণ্ঠে ইউটিউবে মুক্তি পেল ‘ঝাপসা শহর’। ইতিমধ্যে দর্শকদের কাছে ভালোই সাড়া জাগিয়েছে রূপমের এই গান। আরজি করের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল শহর। প্রতিবাদের সুরকে সঙ্গে নিয়ে ঝাপসা শহরের কন্ঠ দিয়েছিলেন রূপম। পরিচালক প্রতিমের কথায়, এই গান রেকর্ডের সময় রূপমের কণ্ঠে উঠে এসেছিল শহরে চলা অশান্ত পরিবেশ ও প্রতিবাদের সুর। শীতঘুম ভেঙে বারবার অন্যায়ের প্রতিবাদে জেগে উঠেছে কলকাতা। ‘চালচিত্র’-তে রহস্য-রোমাঞ্চের গল্প বলতে চলেছেন পরিচালক। ছবিতে দেখা যাবে তিন পুলিশ অফিসারের জীবন, তাঁদের কর্মপদ্ধতিকে গতিময় করতে। শহরের অন্ধকার দিকই জেগে উঠবে এই মাধ্যমে। রহস্য রোমাঞ্চে ঘেরা এই ছবিতে টোটা রায়চৌধুরী, রাইমা সেন বর্মা, অনিবার্ণ চক্রবর্তী, স্বস্তিকা দত্ত ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন বলিউডের শান্তনু মহেশ্বরী ৷
শীত কি বিদায় নিল?

রাজ্যে শীতের আমেজ নেই বললেই চলে। ইতিমধ্যেই কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বেড়েছে তাপমাত্রার পারদ। তেমন একটা শীত অনুভূত হচ্ছেনা রাজ্যজুড়ে। গতকাল অর্থাৎ বুধবার থেকেই এই আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে আগেই জানানও হয়েছিল বুধবার থেকে বদলাতে পারে আবহাওয়া। আর সেই মতই গতকাল থেকে রাজ্যজুড়ে লক্ষ করা যাচ্ছে আবহাওয়ার পরিবর্তন। তবে মনে করা হচ্ছে এবার সপ্তাহান্তে ভাসতে পারে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। যার জেরে মাটি হতে পারে উইকেন্ড। এমনিতেই ডিসেম্বরের প্রায় শেষ সপ্তাহ। ফেস্টিভ মুডে ভাসছে তিলত্তোমা। আলোর সাজে সেজে উঠেছে পার্ক স্ট্রিট-সহ বিভিন্ন এলাকা। কিন্তু শীতের অভাবে বাতিল হতে পারে পিকনিকের মত প্ল্যান। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার এবং শনিবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। মধ্য দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে নিম্নচাপ। যার জেরে শুক্রবার কলকাতা ছাড়াও হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় রয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
শক্তি বাড়ল নৌবাহিনীর

আরও শক্তি বাড়ল ভারতীয় নৌবাহিনীর ((INS Nirdeshak)। যুক্ত হল সার্ভে ভেসেল ‘আইএনএস নির্দেশক’ (INS Nirdeshak)। এটি দ্বিতীয় লার্জ সার্ভে ভেসেল। এই ভেসেলটি তৈরি করেছে গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স (জিআরএসই)। এর আগে প্রথম লার্জ সার্ভে ভেসেলটি চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি হাতে পায় ভারতীয় নৌবাহিনী ( Indian Navy)। বুধবার ১৮ ডিসেম্বর বিশাখাপত্তনামে (Visakhapatnam) জাতীয় সঙ্গীত এবং পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে যুক্ত হয় আইএনএস নির্দেশক। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠ, অ্যাডমিরাল রাজেশ পেন্ধরকার, ফ্ল্যাগ অফিসার কমান্ডিং ইন চিফ, পূর্বাঞ্চলীয় ন্যাভাল কমান্ড ভাইস অ্যাডমিরাল বি শিবকুমার, গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং চেয়ারম্যান কমোডর পি আর হরি (অবসরপ্রাপ্ত), গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তারা। গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স (Gardenreach Shipbuilders) দেশের একমাত্র শিপইয়ার্ড যা দেশীয় প্রযুক্তিতে সামুদ্রিক নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য বন্ধু দেশগুলির জন্য যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ করে। গার্ডেনরিচের তৈরি এই জাহাজটি ১১০তম যুদ্ধজাহাজ। ১১০টি যুদ্ধজাহাজের মধ্যে থেকে ৭২টি ভারতীয় নৌবাহিনী, ৩৬টি উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং দু’টি যুদ্ধ জাহাজ মরিশাস উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং সেশেলস উপকূলরক্ষী বাহিনীর জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। ‘আইএনএস নির্দেশক’ ১১০ মিটার দৈর্ঘ্যের সার্ভে ভেসেল। ভারতীয় নৌবাহিনীর আরও এক জাহাজ ‘আইএনএস সন্ধ্যাক’-এর সঙ্গে কাজ করবে ‘আইএনএস নির্দেশক’। একটি করে হেলিকপ্টার বহন করার ক্ষমতা রয়েছে এই জাহাজগুলির এবং যুদ্ধেও অংশগ্রহণ এর সর্বোচ্চ গতি ১৮ নটের বেশি এবং এই জাহাজ একটানা ২৫ দিন সমুদ্রে থাকতে পারে। এটি একটি হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে ভেসেল (জাহাজ)। যা সমুদ্রের তলদেশে সার্ভে করবে এবং নেভিগেশন চার্ট তৈরি করবে। বিশ্বের সমস্ত দেশের যুদ্ধজাহাজ এবং পণ্যবাহী জাহাজ ভারত মহাসাগর অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যায় শুধুমাত্র ভারতের তৈরি হাইড্রোগ্রাফি চার্টের মাধ্যমে। ভারত মহাসাগর অঞ্চলে একমাত্র ভারতের কাছেই এই প্রযুক্তি রয়েছে। “INS নির্দেশক ১১০ মিটার লম্বা এবং ওজন প্রায় ৩,৮০০ টন। দু’টি ডিজেল ইঞ্জিন রয়েছে।
২০২৮ সালের মধ্যেই পরিবহণ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আসবে

দেশে পরিবহণ ব্যবস্থায় বিপ্লব (Revolutionize) এনেছে কেন্দ্র সরকার (Modi Government)। ভারতমালা যোজনায় (Bharatmala project) একাধিক সড়ক গড়ে উঠছে। রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি (Union Transport Minister Nitin Gadkari) দাবি করেন, দেশজুড়ে ১৮ হাজার ৭১৪ কিলোমিটার সড়ক তৈরি হয়েছে। আরও ২৬ হাজার ৪২৫ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রকল্প অনুযায়ী মূল্য নির্মাণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশজুড়ে পরিবহণের খরচ কমাতে ভারতমালা পরিযোজনার আওতায় মোট ৩৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার সড়ক তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। এই গোটা প্রকল্পে মোট ৪.৭২ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে জাতীয় সড়ক নির্মাণকারী সংস্থা বা ন্যাশনাল হাইওয়ে অথোরিটি অব ইন্ডিয়া। এছাড়াও বন্দরের যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য ১৮টি প্রকল্পের ঘোষণা করেছে সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় ৪২৪ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১৮৯ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়ে গিয়েছে। তার সঙ্গে গুজরাত-মহরাষ্ট্র-সহ মোট আটটি রাজ্য সড়কপথে জুড়ছে এই প্রকল্প। তালিকায় নাম রয়েছে বাংলারও। ২০২৮ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় সড়ক নির্মাণের সমস্ত কাজ শেষ করবে কেন্দ্র সরকার, জানান গড়করি। উল্লেখ্য, ভারতমালা পরিকল্পনা হল সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়নের জন্য একটি সরকারি অর্থায়িত প্রকল্প। এর লক্ষ্য সংযোগ উন্নত করা, এবং অর্থনৈতিক করিডোর বরাবর রাস্তার একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করা। দেশের মূল মূল রাজ্য ও শহরগুলিকেই যুক্ত করছে কেন্দ্রের এই ভারতমালা প্রকল্প।