টুপিস পালক পোশাকে উরফি

স্যোশাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং গার্ল উরফি। পোশাক ও লুকের জন্য অভিনেত্রী বার বার উঠে এসেছেন শিরোনামে। অভিনেত্রীর স্টাইলে ভক্তদের মনে ঝড় তুলেছেন। পালক ড্রেসে নজর কাড়লেন অভিনেত্রী। নেটদুনিয়ায় চর্চায় থাকেন উরফি জাভেদ। নিজের অদ্ভুত ফ্য়াশন সেন্সের জন্য তাঁকে নিয়ে নেটিজেনের মধ্যে চর্চার শেষ নেই। পুরনো জামাকাপড় দিয়ে ফ্যাশনেবল পোশাক তৈরি করে লাইমলাইটে আসেন উরফি।কখনও তাঁকে পরতে দেখা গিয়েছে ব্লেড দিয়ে তৈরি পোশাক। কখনও আবার কাচ তো ছবি দিয়ে তৈরি পোশাক। রুপোলি তবক গায়ে মেখে ইনস্টাগ্রামে ছবি প্রকাশ করেছেন উরফি। ভক্তদের মনে ঝড় তুলেছেন তিনি। অভিনব পোশাকের জন্য কখনও প্রশংসিত হয়েছেন। আবার কখনও কটাক্ষ শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী। এ বার অভিনেত্রী টুপিস পালক পোশাক পড়ে তাক লাগালেন। হালকা স্কাইব্লুল ওয়ান শোল্ডার ক্রপটপের সঙ্গে মিনি স্কাট পড়ে পোজ দিলেন উরফি। স্কাটের মধ্যে লাগানো অটোমেটিক মুভিং পালক। খোলাচুল হালকা মেকআপে সেক্সি লাগছিল অভিনেত্রীকে। পাপারাজিৎদের সামনে দিলেন হাসিমুখে পোজ।

দূষণে কাবু দিল্লি!

দিল্লির বায়ু দূষণ পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে। সোমবার ভোরে দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ৩৩৪-এ পৌঁছে যায়, যা ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে পড়ে। দুপুরে তা আরও বেড়ে ৩৬৭-এ ঠেকে। তাপমাত্রা হ্রাসের সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে এই দূষণ রাজধানীর জনজীবনে নতুন সমস্যা তৈরি করেছে। নিয়ন্ত্রক পর্ষদ ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান ৩’ (জিআরএপি ৩) কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা দূষণ মোকাবিলায় কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেয়। জিআরএপি ৩-এর আওতায় দিল্লি এবং এনসিআর অঞ্চলে স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ‘হাইব্রিড মডেল’ চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ, অভিভাবকেরা নির্ধারণ করবেন শিশুদের স্কুলে পাঠানো হবে, না কি অনলাইনে ক্লাস করানো হবে। দিল্লি, গুরুগ্রাম, গাজ়িয়াবাদ, ফরিদাবাদ, এবং নয়ডার সমস্ত স্কুল এবং কলেজে এই নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, জরুরি নয় এমন নির্মাণকাজ এবং ভাঙার কাজ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। যানবাহন চলাচলেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বিএস ৩-এর নীচে থাকা পেট্রলচালিত গাড়ি এবং বিএস ৪-এর নীচে থাকা ডিজ়েলচালিত গাড়ি দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় চলাচল করতে পারবে না। এই বিধিনিষেধ জাতীয় নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা এবং সরকারি পরিকাঠামো সংক্রান্ত নির্মাণ কাজে প্রযোজ্য নয়। দূষণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

কোহলির টেকনিক নিয়ে মন্তব্য পূজারার

ব্রিসবেনে (Brisbane Test) মাত্র তিন রান করে আউট হয়েছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। একজন ব্যাটার অল্প রানে আউট হতেই পারে, কিন্তু কোহলি যে কায়দায় আউট হয়েছেন তা খুবই আপত্তিকর। অফস্টাম্পের একহাত বাইরের বলে ব্যাট চালাতে গিয়ে খোঁচা দিয়েছেন তিনি। বল তখন মাত্র ৭.২ ওভার পুরনো, যথেষ্ট সুইং করছে। এই সময় ওই শট খেলা মানের নিজের পতন ডেকে আনার নামান্তর। কিছুকাল আগেও কোহলির আগে তিন নম্বরে নেমে যিনি বল পুরনো করায় সিদ্ধহস্ত ছিলেন, সেই চেতেশ্বর পুজারার (Cheteshwar Pujara) মতে, কোহলির টেকনিক নতুন বল খেলার উপযোগী নয়। পুজারা বলেন, “ওর টেকনিক নতুন বলের জন্য নয়। ওর ব্যাটিং আসা উচিত ১০, ১৫, ২০ ওভার পরে। ও যদি নতুন বল খেলে, বোলাররা তাজা থাকে, ওদের আত্মবিশ্বাস থাকে ভরপুর। বোলাররা যখন দুই উইকেট পেয়ে যায় গোটা দল চেগে ওঠে। তাই সেই সময় ব্যাট করা সহজ নয়।” তবে কোহলির আউট হওয়ার ধরন নিয়ে অখুশি পুজারা। তিনি স্পষ্ট বললেন, “বল যখন নাগাড়ে চতুর্থ কিংবা পঞ্চম স্টাম্পে হচ্ছে, বিরাট খেলছে আর আউট হচ্ছে। এটা ভালো বিষয় নয়। ও নিজেও সেটা বোঝে। আমরা দেখেছি, নেট সেশনে ওই জায়গার বল ছেড়ে দিচ্ছে বিরাট। কিন্তু ম্যাচে তার প্রয়োগ হচ্ছে না।” প্রসঙ্গত, এই সিরিজে কোহলি চারবারই উইকেটের পিছনে খোঁচা দিয়ে আউট হয়েছেন। পুজারা আরও বলেন, “ম্যাচেও বল ছাড়তে চাইছে কিন্তু কোনও কারণে হয়ে উঠছে না, ব্যাট চালিয়ে ফেলছে। তাই ওকে নিজেকে থামাতে হবে। ওকে মাইন্ডসেট বদলাতে হবে। অফস্টাম্পের বাইরের বল খেলতে হলে টেকনিক্যাল দিকটা কাজে লাগে। কিন্তু ওই একই বল ছাড়তে হলে টেকনিকে কোনও বদল লাগে না, বরং মানসিক অ্যাডজাস্টমেন্ট প্রয়োজন।”

নতুন শিরোপা পেল পশ্চিমবঙ্গ

দুধ, ডিম এবং মাংস উৎপাদনে নতুন শিরোপা পেল পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। প্রাণীজ প্রোটিন উৎপাদনের নিরিখে দেশের সর্ববৃহৎ রাজ্য উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্য মহারাষ্ট্রকেও পিছনে ফেলে এগিয়ে গেল বাংলা। সোমবার এই সুখবর জানিয়েছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে লিখেছেন, “এটি খুবই আনন্দের বিষয় যে, পশ্চিমবঙ্গ এখন ভারতের সর্বোচ্চ প্রাণীজ প্রোটিন উৎপাদনকারী রাজ্যে পরিণত হয়েছে। দেশের বৃহত্তম রাজ্য উত্তরপ্রদেশকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে বাংলা। ভারত সরকার এই সাফল্যকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রকাশ্যে বাংলার প্রশংসা করেছে।” সম্প্রতি, ২০২৪ সালের জন্য দেশের প্রাণীসম্পদ পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছে। সেই তথ্য উল্লেখ করে মমতা তাঁর পোস্টে লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গ এখন দেশের সর্বোচ্চ মাংস উৎপাদক, যা জাতীয় উৎপাদনের ১২.৬২ শতাংশ।” এছাড়াও, দুধ উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গ দেশের সর্বোচ্চ বার্ষিক বৃদ্ধির হার হিসেবে ৯.৭৬ শতাংশ অর্জন করেছে, যেখানে জাতীয় গড় হার মাত্র ৩.৭৮ শতাংশ। এদিকে পোলট্রি খাতে, ডিম উৎপাদনে বাংলার বার্ষিক বৃদ্ধি হার ১৮.০৭ শতাংশ। এটি জাতীয় গড় ৩.১৮ শতাংশের থেকে বহুগুণ বেশি। সোমবার নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে একটি বিবৃতিমূলক পোস্টের মাধ্যমে সুখবর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এর ক্রেডিট তিনি নিজে নেননি। বরং, উৎপাদনকারী কৃষক এবং কর্মীদের দিয়েছেন। এই পোস্টেই মমতা তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়ে লেখেন, “এই শিরোপা অর্জন আমাদের উদ্ভাবনী নীতি ও পরিকল্পনার প্রমাণ এবং আমাদের কৃষক ও কর্মীদের দৃঢ় সক্ষমতার প্রতিফলন।”