পানীয় জল সমস্যা, মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পর কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি নিয়ে নবান্নে বৈঠক

কেন্দ্রের একাধিক এজেন্সির গড়িমসিতে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ, ৯ লক্ষ পরিবার জল (Water) পাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীর (Cm Mamata Banerjee) কড়া বার্তার পর কেন্দ্রের একাধিক এজেন্সিকে নিয়ে বৈঠকে নবান্ন। রেল, ডিভিসি, ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া, আইও সি এল  সহ কয়েকটি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে এদিনের বৈঠকে ডাকল নবান্ন (Nabanna)। শুক্রবার সকাল ১১ টা থেকে মুখ্য সচিব এজেন্সি গুলিকে নিয়ে বৈঠক করেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর। যে যে জায়গায় পানীয় জল দেওয়ার জন্য সংযোগ আটকে রয়েছে, সেই এলাকাগুলিতে সমস্যা সমাধান করে দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়ার অনুরোধ মুখ্য সচিবের। ডিভিসিকেও পর্যাপ্ত জল দেওয়ার নির্দেশ মুখ্য সচিবের। দীর্ঘদিন ধরে সংযোগ সংক্রান্ত সমস্যা ফেলে রাখবেন না। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে জানিয়ে দিল নবান্ন। উল্লেখ্য,জল জীবন মিশন প্রকল্পের আওতায় রাজ্যে গ্রামীণ প্রায় ১.৭৫ কোটি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছনোর কথা রয়েছে। এখনও সেটি পৌঁছেছে ৯৩.৫০ লক্ষ পরিবারের কাছে। ২০২৪ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা  বিশবাঁও জলে। এই পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

২০ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে ‘৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন’

ডিসেম্বরের শহরে আসতে চলেছে মানাসী সিনহার দ্বিতীয় পরিচালিত ছবি ‘৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন’। আজ প্রকাশিত হল সেই সিনেমার ট্রেলার। যা দেখে উচ্ছ্বসিত দর্শকমণ্ডলি। পারিবারিক গল্প নিয়ে আসতে চলেছে ‘৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন’। এই সিনেমা পৈতৃক ভিটে, শ্যাওলা ধরা সম্পর্কের গল্প বলবে। অভিনেত্রী মানসী সিনহার পরিচালিত প্রথম ছবি  ‘এটা আমাদের গল্প’। সেখানে একসঙ্গে জুটি বাঁধতে দেখা যায়  শাশ্বত-অপরাজিতাকে। ছবি দেখে দর্শকদের চোখের কোনায় এসেছিল জল। অভিনেত্রী মানসী সিনহা, পরিচালক মানসী সিনহা হিসাবেও কুড়িয়েছেন অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা। তখন থেকেই দর্শকদের মানসীর কাছে আসা তুঙ্গে। ট্রেলারে এক বনেদি বাড়ির বর্তমান ছবি উঠে আসে। পারিবারিক ছবিই দর্শকদের উপহার দিতে চলেছেন মানসী সিনহা, তা ট্রেলার দেখেই স্পষ্ট। ডিসেম্বর ২০ তারিখ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে ‘৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন’। প্রথম সিনেমার মত, এই সিনেমাও দর্শকদের প্রতাশ্যা পূরণ করতে পারে কিনা এখন সেটাই দেখার।  

অ্যাডিলেডে প্রথম দিনেই চাপে ভারত

গোলাপি বলের টেস্টে প্রথম দিনেই বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়ল ভারত। টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। ১৮০ রানেই শেষ হয়ে গেল দলের ইনিংস। আশা করা হয়েছিল, পার্থ টেস্টের মতো জসপ্রীত বুমরার (Jasprit Bumrah) নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন আপকে পেড়ে ফেলবে ভারতের পেস ব্যাটারি। কিন্তু অ্যাডিলেডে সেটাও হল না। দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া এক উইকেট হারিয়ে ৮৬ রান তুলে দিল। ভারতের থেকে এখনও ৯৪ রান পিছিয়ে তবে প্রথম দিনের খেলা মার্নাস লাবুশেন, নাথান ম্যাকসুইনিকে প্রচুর আত্মবিশ্বাস দেবে। লাবুশেন ২০ রানে অপরাজিত এবং পার্থে অভিষেক করা ম্যাকসুইনি টিকে রইলেন ৩৮ রানে। এই দুজনের ব্যাট হাতে লড়াই দেখে উদ্ধুব্ধ হবেন স্টিভ স্মিথরাও। আগামিকালের প্রথম ঘণ্টা সাবধানে কাটিয়ে দিতে পারলে ভারতের কপালে দুঃখ আছে। লাবুশেন-ম্যাকসুইনি ভালো প্রতিরোধ দেখিয়েছেন তবে এদিনের নায়ক নিঃসন্দেহে মিচেল স্টার্ক  (Mitchell Starc)। মনে মনে কি একটু অপরাধ বোধে ভুগছেন যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal)? পার্থ টেস্টে স্টার্ককে স্লেজ করেছিলেন তিনি। অজি পেসারের বল নাকি মন্থর গতির, ক্রিজে দাঁড়িয়ে তাঁকে এই কথাই বলেছিলেন যশস্বী। অ্যাডিলেডে দিনের প্রথম বলেই ভারতের তরুণ ওপেনারকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠালেন তিনি। স্টার্ক এদিন যেন অতিরিক্ত খিদে আর জেদ নিয়ে বল করলেন। যশস্বীর পর একে একে তাঁর শিকার কে এল রাহুল, বিরাট কোহলি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং হর্ষিত রানা। ভারত ১৪১ রানে আট উইকেট হারিয়েছে, তার পাঁচটাই স্টার্কের। ৩৪ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে, তবু এখনও ৯০ মাইল প্রতি ঘণ্টায় নাগাড়ে বল করে যেতে পারেন। তাঁকে গতি নিয়ে কটাক্ষ করা বোধহয় যশস্বীর ঠিক হয়নি।

রেপো রেট অপরিবর্তিত, কমছে না সুদের হার

রেপো রেট (Repo Rate) অপরিবর্তিত থাকবে, জানাল আরবিআই (RBI)।  শুক্রবার রিজার্ভ ব্যঙ্কের মনিটরি পলিসি কমিটির বৈঠক শেষে একথা জানান শীর্ষ ব্যঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Governor Shaktikanta Das) । রেপো রেট অপরিবর্তিত থাকার কারণে সুদের হার কমছে না, জানিয়েছেন গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্তে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির সুদের হারে বড় পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রইল না। অর্থাৎ আগামী তিন মাসের জন্য রেপো রেট থাকছে ৬.৫ শতাংশ। এই নিয়ে টানা ১১ বার অর্থাৎ ২২ মাস রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখা হল। ২০২৩ সালের মার্চে শেষবার রেপো রেট বাড়ানো হয়েছিল। তার পর থেকেই অপরিবর্তিত রয়েছে সুদের হার। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের শেষেও সুদের হার অপরিবর্তিত রাখারই সিদ্ধান্ত নিল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মানিটারি পলিসি কমিটি। রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখা হলেও মুদ্রাস্ফীতির দিলে বিশেষ নজর দিয়েছে আরবিআই। মুদ্রাস্ফীতি কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা এদিনের এদিনে বৈঠকে আলোচনাও হয়েছে। রেপো রেট অপরিবর্তিত থাকার কারণে মধ্যবিত্তের জন্য একটু চিন্তা কমল। কারণ বাড়ি-গাড়ি সহ অন্যান্য ঋণের ক্ষেত্রে বাড়তি সুদের বোঝা গুণতে হবে না।