‘বাঘি ৪’-এ টাইগারের চমক

‘সিংহম এগেইন’ এর সাফল্যের মাঝেই ‘বাঘি’ ফ্র্যাঞ্চাইজি  নিয়ে আসছেন টাইগার শ্রফ (Tiger Shroff)। তবে এবার একেবারে ভিন্ন লুকে দেখা গেল তাঁকে।  সোম সকালে টাইগারের এহেন লুকে নেটপাড়ায় শোরগোল। ‘বাঘি ৩’ ছবির সাফল্যের পরই শোনা গিয়েছিল, চতুর্থ সিক্যুয়েল-এর কথা। এবার বাঘি-৪ এর লুক প্রকাশ্যে এল। পরিচালক এ হর্ষা সোমবার থেকে টাইগার শ্রফকে নিয়ে শুটিং শুরু করলেন।  ২০২৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে এই সিনেমা। টাইগারের লুক দেখে নিন্দুকরা আবার ‘অ্যানিমেল’-এর রণবীর কাপুরের খল চরিত্রের সঙ্গে মিল খুঁজে পেলেন! ‘বাঘি ৪’-এর প্রথম ঝলক প্রকাশ্যে আসতেই হইচই টাইগারের অনুরাগীদের মধ্যে। ওই পোস্টারে তাঁকে শৌচাগারে রক্তাক্ত অবস্থায় বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে অভিনেতাকে। হাতে দৈত্যকার ‘বুচার নাইফ’। আরেক হাতে মদের বোতল। ঠোঁটে ধরা সিগারেট। চারদিকে রক্তগঙ্গা। কোমডের উপর বসে টাইগার।

জয়ে ফিরতে মরিয়া মেসির আর্জেন্টিনা

২০২৬ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে (World Cup Qualifying) একেবারেই ভালো পারফরম্যান্স নেই পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের (Brazil)। ১১টি ম্যাচ খেলার পর আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে এবং কলম্বিয়ার পর চতুর্থ স্থানে আছে তারা। দিনকয়েক আগে ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করেন ভিনিসিয়াস জুনিয়ররা (Vinicius Jr)। ভিনি নিজে পেনাল্টি নষ্ট করেন। ভারতীয় সময় বুধবার ভোর ৬.১৫টায় শক্তিশালী উরুগুয়ের বিরুদ্ধে খেলার আগে দলের পাশে থাকতে সমর্থকদের উদ্দেশে আবেদন জানালেন অধিনায়ক মারকুইনহোস (Marquinhos)। পিএসজি ডিফেন্ডার বলেন, “এমন অনেক কিছুই ঘটেছে যার ফলে জাতীয় দলের প্রতি আশা হারিয়েছেন সমর্থকরা, আমরা তবু অনুরোধ করব, তাঁরা যেন দলের প্রতি আবেগ হারিয়ে না ফেলেন।” হেড কোচ ডোরিভাল জুনিয়র জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছেন বেশিদিন হয়নি। তাছাড়া দল এক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। মারকুইনহোস এ সময়ে সমর্থকদের বলছেন আস্থা রাখতে।

মেটাকে বিপুল জরিমানা ভারতীয় কমিশনের

মার্ক জুকারবার্গ-এর (Mark Zuckerberg) বহুজাতিক সংস্থা মেটা-কে ২১৩ কোটি টাকা জরিমানা করল কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া (CCI)। একই সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) তথ্য নিজেদের অন্য কোনও সংস্থায় হস্তান্তরেও নিষেধাজ্ঞা জারি। মেটা প্ল্যাটফর্ম ইনকর্পোরেশন এবং তার সাবসিডিয়ারি হোয়াটসঅ্যাপকে নিজেদের অন্য কোনও সংস্থায় সংগৃহীত তথ্য হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা। সেই সঙ্গে ওই জরিমানা। কোনও সমাজমাধ্যম সংগঠনকে ‘কমপিটিশন ল’ বা প্রতিযোগিতামূলক আইনভঙ্গের অভিযোগে এই প্রথম এমন জোরদার সাজার ঘটনা। সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) বাজারে মেটার জোরদার উপস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি নীতি ২০২১ সালে বদল করাকে আপত্তি জানিয়ে অভিযোগ ওঠে। পরিবর্তিত নীতিতে মেটার বক্তব্য ছিল ‘টেক ইট অর লিভ ইট’। অর্থাৎ সম্ভাব্য ক্রেতার প্রতি মেটার বার্তা- ইচ্ছে হলে নাও, না হলে পথ দেখো। আর এই নীতির হাত ধরে এমন সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে যে তথ্য তারা সংগ্রহ করে চলেছে, তা মেটা গোষ্ঠীর অন্যান্য সংস্থাতে হস্তান্তরের অবাধ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ। যে ব্যবস্থাতে পরিষেবা গ্রহীতার আপত্তি জানানোর কোনও সুযোগ নেই। দ্বিতীয়ত, এই নীতি হোয়াটসঅ্যাপের ২০১৬ সালের অবস্থান থেকে সম্পূর্ণ সরে আসা। তখন হোয়াটসঅ্যাপের তথ্য ফেসবুকে শেয়ার না করার সুযোগ ব্যবহারকারীর ছিল। সিসিআইয়ের অভিমত,এই পরিবর্তনের হাত ধরে মেটা সম্পর্কিত বাজারে আধিপত্য বিস্তারের একচেটিয়া সুযোগ নিয়েছে, বিশেষত অনলাইন বিজ্ঞাপনের বাজারের অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায়। প্রসঙ্গত, প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থাকে এড়িয়ে অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং প্লে স্টোরের মাধ্যমে গুগল অন্যায় সুযোগ নিচ্ছে বলে এর আগে ওঠা অভিযোগেও ব্যবস্থা নিয়েছিল সিসিআই।

শীতের শুরুতেই দাম বেশি শাক-সবজির!

বিগত দু’দিন ধরেই শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে শহর কলকাতায়। ইতিমধ্যে পশ্চিমের জেলাগুলিতে পারদের পতন ঘটেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। আর শীতকাল মানেই বাঙালির কাছে ভ্রমণ এবং খাওয়াদাওয়া। কিন্তু এবার শীতের শুরুতে বাঙালির পেটপুজোয় পড়তে পারে পকেটের টান। নেপথ্যে শীতের বাজারদর। শীতে সবজির ফলন কম হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে যোগান কম। ফলে চড়া দামে সবজি কিনতে হচ্ছে। আর তাতেই নাজেহাল আমজনতা। টাস্ক ফোর্সের নজরদারিকে উপেক্ষা করেই আলু, পেঁয়াজ সহ বিভিন্ন সবজির দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে রয়েছে। উল্লেখ্য, কলকাতার বাজারে বর্তমানে পালং শাকের দাম কেজিপ্রতি ৬০ টাকা, মুলোর দাম কেজিপ্রতি ৬০ টাকা,  কড়াইশুঁটির দাম কেজিপ্রতি ২০০ টাকা,  সিমের দাম কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ফুলকপির দাম প্রতি পিস ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, গাজরের দাম কেজিপ্রতি ১০০ টাকা, ধনেপাতার দাম ১৫-২০ টাকা ১০০ গ্রাম, জ্যোতি আলুর দাম কেজিপ্রতি ৩২ টাকা, চন্দ্রমুখী আলুর দাম কেজিপ্রতি ৩৫ টাকা, পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৬৫ টাকা। অন্যদিকে মাছ, মাংস ও ডিমের দাম তো এমনিতেই শীতকালে বেশী থাকে। পিকনিকের মরশুম শুরু হওয়ার আগেই বাজারের এমন আগুন দাম মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের কপালে ভাঁজ ফেলছে।