দিল্লিতে বন্ধ স্কুল, ওয়ার্ক ফ্রম হোম

রাজধানী যেন গ্যাস চেম্বার। দিল্লি (Delhi Air Pollution)-এনসিআর-এর বাতাস হয়ে উঠেছে বিষাক্ত। বায়ু দূষণ এতটাই বেড়েছে যে AQI মাত্রা ৫০০  ছাড়িয়ে গেছে এবং বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।  শ্বাস নিতে গেলেই দম বন্ধ হয়ে আসছে। দিল্লির চারিদিক ঢেকেছে ধোঁয়ায়। কম দৃশ্যমানতার কারণে ব্যাহত হচ্ছে যান থেকে ট্রেন ও বিমান চলাচলও। কম দৃশ্যমানতার কারণে দেরিতে উড়েছে শতাধিক বিমান। ৩টি বিমানের শিডিউল বাতিলও করা হয়েছে। সবমিলিয়ে দূষণের জেরে বেহাল দশা দিল্লির আমজনতার।দশম-দ্বাদশ শ্রেণি বাদে বাকি সমস্ত ক্লালের পড়ুয়াদের স্কুলে আসেন না করা হয়েছে। তাদের অনলাইনে ক্লাসের ঘোষণা করেছে আপ সরকার। সরকারি কর্মীদের আপাতত ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাতাসের গুণমান নির্ধারণের জন্য দিল্লি ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় রয়েছে ৩৫টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। তার মধ্যে ২২টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে বাতাসের গুণমান সূচক ধরা পড়েছে ‘বিপজ্জনক’ পর্যায়ে। নয়ডার বায়ু ৩৮৪  AQI, ফরিদাবাদ ৩২০ AQI রেকর্ড করেছে। গাজিয়াবাদ এবং গুরুগ্রাম যথাক্রমে ৪০০ এবং ৪৪৬ এর AQI। দমবন্ধ বাতাসে মানুষের শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেজ্ঞরা। বায়ু দূষণ শুধু ফুসফুসেরই নয়, শরীরের অন্যান্য অঙ্গেরও মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। ধোঁয়াশার কারণে দিল্লির রাস্তায় গাড়ি চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন চালকেরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ চালু করেছে দিল্লি সরকার। এই মুহূর্তে ট্রাকের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কোনও ধরনের নির্মাণ কাজ এই মুহূর্তে করা যাবে না।

কলকাতায় তাপমাত্রা আরও কমল

ঠাণ্ডা চাদর গায়ে মেখে ভোর হচ্ছে তিলোত্তমার। সকাল থেকেই শীত শীত ভাব। তার সঙ্গে বেশ হাওয়া দিচ্ছে। সব মিলিয়ে একটা সুন্দর আবহাওয়া কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলিতে। গ্রীষ্মকালে যেভাবে গলদঘর্ম হতে হয়েছে, এবার শীতল আবহাওয়া অনেকটাই স্বস্তি দিচ্ছে। স্যুটকেস থেকে গুটি গুটি পায়ে বের হচ্ছে, শাল-সোয়েটার, কম্বল। ফের শীতের দুপুরে মাদুর পেতে কমলালেবু খাওয়ার দিন চলে এসেছে। লা-নিনার প্রভাবে এবার শীত ভালো কাবু করবে। গোটা দেশেই এর প্রভাব পড়বে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে  পারদ পতন শুরু হয়েছে। আজ সপ্তাহের প্রথম দিনেই তাপমাত্রা নামল ১৮ ডিগ্রিতে।  শীতের প্রথম স্পেলেই শান্তিনিকেতন ও পুরুলিয়ায় ১৩ ডিগ্রির ঘরে পারদ নেমেছে। শীত এবার ভালোই ব্যাটিং করবে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, সকালের দিকে আপাতত রোজই হালকা কুয়াশা বা ধোঁয়াশা থাকবে। বেলা বাড়লে আস্তে আস্তে পরিষ্কার হবে আকাশ। চলতি সপ্তাহে এইরকম তাপমাত্রাই থাকবে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর। সপ্তাহভর শীতের আমেজ বজায় থাকবে।

‘পুষ্পা ২’ ট্রেলার লঞ্চ, পাটনায় কী হল?

মুক্তির ১৭ দিন আগে বহু প্রতিক্ষীত পুষ্পা ২ ট্রেলার লঞ্চ হল। ছবির ট্রেলার লঞ্চে চমক রাখলেন দক্ষিণী সুপারস্টার আল্লু অর্জুন। আল্লুর ছবি প্রক্ষাগৃহে মুক্তি মানেই তাঁর ভক্তদের কাছে উৎসব। ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে সশরীরের উপস্থিত ছিলেন অল্লু অর্জুন ও রশ্মিকা মন্দনা। তাঁদের দেখতে লাখো লাখো মানুষের ভিড় জমেছিল বিহারের গান্ধী ময়দান চত্বরে। ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আল্লু। তিনি অনুরাগীদের উদ্দেশে আরও বলেন, “আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, পুষ্পাকে এই পর্যায় ভালবাসা দেখানোর জন্যে। স্বপ্নের নায়ককে কাছ থেকে দেখার লোভ সামলাতে পারলেন না অধিকাংশই। হুল্লোরে ফেটে পড়লেন সকলে। বেসামাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তারই মাঝে কথা বলে উঠলেন আল্লু। আরই হাতের বাইরে চলে যায় পরিস্থিতি। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ পুলিশের। রবিবার সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে এল বছরের অন্যতম প্রতীক্ষিত ছবি ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’-এর ট্রেলার। সমগ্র ট্রেলার জুড়ে রয়েছে মারকাটারি অ্যাকশন, রোম্যান্স আর কিছু জবরদস্ত সংলাপ। ট্রেলারে জুড়ে রয়েছে ঘোষণা ‘পুষ্পা শুধু নাম নয়, পুষ্পা একটা ব্র্যান্ড’। সঙ্গে চোর-পুলিশের খেলা জারি রয়েছে পুষ্পার। পুষ্পাকে দিনমজুর থেকে লাল চন্দন চোরাকারবারি থেকে গ্যাংস্টর হওয়া গল্প তুলে ধরা হয়েছিল প্রথম পর্বে। রাজপাট কীভাবে সামলাবে সে? সেই গল্প বলবে পুষ্পা-২। দুই মিনিট ৪৭ সেকেন্ডেরে ট্রেলারে মুগ্ধ ভক্তরা। দু’বছর পর ফের পুষ্পা রাজের ঝলক দেখতে পেয়ে উত্তেজিত আল্লু অনুরাগীরা। ট্রেলার দেখে এক ভক্ত মন্তব্য করেছেন, ‘গুজবাম্পস!’ কেউ বলছেন, ‘উফ! আর অপেক্ষা করতে পারছি না।

প্রোটিয়া স্পিনারের সঙ্গে আজব মিল বুমরার

ভারতীয় পেসার জসপ্রীত বুমরা এবং দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনার তবরেজ শামসির মধ্যে এক দারুণ মিল। আন্তর্জাতিক টি২০ ক্রিকেটে (T20 Internationals) দু’জনের পরিসংখ্যানে হুবহু মিল। বিষয়টি একেবারেই কাকতালীয়। শামসি নিজেই এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। ঘটনা ঠিক কী? শামসি দেশের হয়ে ৭০টি টি২০ ম্যাচ খেলেছেন। বুমরা ভারতের হয়ে ঠিক ৭০টিই ম্যাচ খেলেছেন। তাঁদের দুজনেরই সংগ্রহে রয়েছে ৮৯টি করে উইকেট। এ পর্যন্ত তবু ঠিক ছিল, সমসংখ্যক ম্যাচে দুইজন ক্রিকেটারের সমসংখ্যক উইকেট কিংবা রান না হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু কী অদ্ভুত বিষয় শামসি এবং বুমরা দুজনেই ঠিক ১৫০৯টি করে ডেলিভারি করেছেন। দুই বোলারের সমসংখ্যক ম্যাচ, উইকেট এবং ডেলিভারি এর আগে কখনও হয়েছে কি না সন্দেহ। আর সমসংখ্যক ডেলিভারিতে সমসংখ্যক উইকেট পাওয়ার অর্থ তাদের স্ট্রাইক রেটও এক— ১৬.৯। শামসি নিজেও এ নিয়ে টুইট করে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। বুমরা অবশ্য এখনও এ নিয়ে কিছু বলেননি। চারটি পরিসংখ্যান এক হলেও বাকি তিনটির আলাদা। যেমন বুমরার সেরা বোলিং ফিগার ৭ রান দিয়ে তিন উইকেট। শামসির সেরা বোলিংয়ের হিসেব ৫/২৪। শামসির বোলিং গড় ২০.৮৯ এবং বুমরার ১৭.৭৪। ইকোনমির ক্ষেত্রেও প্রোটিয়া স্পিনারের থেকে এগিয়ে বুমরা, শামসির ৭.৩৯ এবং বুম বুম বুমরার ৬.২৭।