নীচে নামল কলকাতার পারদ

দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। শনিবার মরশুমের প্রথম ২০ ডিগ্রির নীচে নেমেছিল পারদ। ২০ ডিগ্রির নীচে নেমেছিল কলকাতার তাপমাত্রা। বেশ কয়েকটি জেলায় ইতিমধ্যেই ১৫ ডিগ্রির নীচে নেমেছে তাপমাত্রা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শুক্রবার কলকাতা তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি, শনিবার ১ ডিগ্রি পারদ পতন হয়েছিল। আর শনিবার ছিল কলকাতার তাপমাত্রা ১৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস । স্বাভাবিকের থকে ১ ডিগ্রি কম। আগামী ২-৩ দিনে তাপমাত্রা আরও কমবে। উত্তুরে হাওয়াতে পারা পতন শুরু হয়েছে। হাওয়া অফিস বলছে যদিও এখনও শীত আসতে কিছুটা সময় বাকি আছে। কিন্তু সকাল ও রাতের দিকে পারদ নিম্নমুখী থাকবে যার জেরে শীত শীত অনুভূত হবে। রবিবারও পারদে শীতের অনুভূতি আছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, উত্তর ও পশ্চিমের জেলা গুলিতে শীত আগে পড়বে। রাজ্যে জেলাগুলিতে সকালে কুয়াশার ঢাকা থাকবে। সকাল সকাল কুয়াশা ঘিরে রাখতে পারে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া জেলাতে। হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে বাকি জেলাতেও। দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে রাতের তাপমাত্রা আরও কমবে। ধীরে ধীরে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে। কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রির নীচে। পুরুলিয়ার তাপমাত্র নেমেছে ১২.৮ ডিগ্রিতে।

উধাও শতাব্দী এক্সপ্রেসের কামরা!

আস্ত একটা রেল কামরা উধাও হয়ে গেল সাতসকালে! রেলের যুক্তি শুনে অবাক যাত্রীরা। হয়তো এই ঘটনা সম্পর্কে জানলে আপনিও অবাক হয়ে যাবেন। শনিবারের ঘটনা। এদিন সকাল ৭টা ২০ মিনিটে নয়াদিল্লি থেকে অমৃতসরগামী শতাব্দী এক্সপ্রেসের রওনা হওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছাড়েনি। এর ফলে যাত্রীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং রেল কর্তৃপক্ষের কাছে দেরির কারণ জানতে চান। এই কারণ শুনে হতবাক  সকলে। কারণ, রেলকর্মীরা নাকি একটি গুরুত্বপূর্ণ কামরা ট্রেনের সঙ্গে জুড়তেই ভুলে গিয়েছিলেন। রেল সূত্রে জানা যায়, তদারকির গাফিলতিতে ট্রেনের এক্সিকিউটিভ কামরাটি জোড়া হয়নি। এই ভুল শুধরাতে প্রায় দু’ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে ট্রেনটি দু’ঘণ্টা দেরিতে নয়াদিল্লি স্টেশন থেকে রওনা দেয়। রেলের গাফিলতিতে এই দেরির জন্য যাত্রীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। নয়াদিল্লি স্টেশনে আরপিএফ-দের ঘিরে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। সেই সময়কার কিছু ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাঁরা এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানাতে থাকেন। তবে উত্তর রেল কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনা প্রসঙ্গে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে ট্রেনের একাধিক যাত্রী সামাজিক মাধ্যমে ভারতীয় রেলের এই গাফিলতির সমালোচনা করেছেন। কেউ জানিয়েছেন, ট্রেন দেরি করার কারণে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ মিটিং বাতিল করতে হয়েছে। আবার কেউ বলেছেন, কলেজের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। পর্যটকদের মধ্যেও ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তবে, একটি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, রেল কর্তৃপক্ষ তাঁদের ভুল স্বীকার করেছেন এবং জানিয়েছে যে, এই ত্রুটি কীভাবে ঘটল এবং এর জন্য কে দায়ী, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।