সুখবর দিলেন রাহুল-আথিয়া

বিয়ের দু’বছরের মধ্যেই সুখবর দিলেন আথিয়া-রাহুল। কবে আসছে প্রথম সন্তান, জানালেন তারকা দম্পতি। ২০২৫-এ আসতে চলেছে রাহুল-আথিয়ার সন্তান। ২০২৩ সালে চারহাত এক হয় কেএল রাহুল ও আথিয়া শেট্টির। শোনা যাচ্ছিল তার পরিবার পরিকল্পনা শুরু করেছেন। এবার সুখবর দিলেন রাহুল ও আথিয়া। শুক্রবার ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেন আথিয়া শেট্টি। সেখানে বেইজ রঙের উপর একটি ইভিল আই ইমোজি দেওয়া। এবং সঙ্গে লেখা, ‘আমাদের দুজনের প্রার্থনার ফল আসছে শীঘ্রই।’ সঙ্গে একটা বাচ্চার পায়ের ছাপের সঙ্গে লেখা ২০২৫। অর্থাৎ আগামী বছরই তাঁরা মা বাবা হতে চলেছেন তাঁরা। এই পোস্টটি অভিনেত্রী সাদা হৃদয়ের ইমোজি ক্যাপশনে দিয়ে পোস্ট করেন। সঙ্গে ট্যাগ করেছেন স্বামী কে এল রাহুলকেও। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সোনাক্ষী সিন্‌হা, বাণী কপূর, এষা গুপ্তের মতো অভিনেত্রীরা। আগামী বছরেই দুই থেকে তিন হতে চলেছেন তাঁরা।   View this post on Instagram   A post shared by Athiya Shetty (@athiyashetty)

পাকিস্তানের রেল স্টেশনে বিস্ফোরণ

ফের সন্ত্রাসের কবলে পাকিস্তান। এবার ভয়াবহ এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তান। ব্যস্ততম একটি রেল স্টেশনে এই বিস্ফোরণের ঘটনাটি। সূত্রের খবর, বেলুচিস্তান প্রদেশের কোয়েটায় তীব্র বিস্ফোরণে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ইতিমধ্যে ৫০ পেরিয়ে গিয়েছে। শনিবার সকালে কোয়েটা রেল স্টেশনে যাত্রীরা যখন জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছিলেন, তখন এই বিস্ফোরণ ঘটে। কোয়েটার সিনিয়র পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলুচ জানান, প্রাথমিক তদন্তে এটিকে আত্মঘাতী হামলা বলেই মনে হচ্ছে। তবে তিনি নিশ্চিত করেন যে, এই বিস্ফোরণে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। ইতিমধ্যে, এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, কোয়েটা রেল স্টেশনের বুকিং অফিসে এই বিস্ফোরণ ঘটে। বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ জানান, বিস্ফোরণের পর উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে এই বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, দূরদূরান্তের বিভিন্ন এলাকায থেকেও এর শব্দ শোনা গিয়েছে। পাশাপাশি, বিস্ফোরণের ফলে প্ল্যাটফর্মের ছাদেরও কিছু ক্ষতি হয়েছে। বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি এই হামলার নিন্দা করে বলেন, “জঙ্গিরা যেহেতু সাধারণ মানুষকে আক্রমণ করা শুরু করেছে, তাই এবার তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে”। তবে এখনও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

ফের বৃষ্টির আশঙ্কা, কবে থেকে?

কলকাতা: ফের নিম্নচাপের আশঙ্কা। এমনটাই জানাল আলিপুর হাওয়া অফিস। আগামী ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। এই নিম্নচাপ পশ্চিমমুখী অগ্রসর হবে অর্থাৎ শ্রীলংকা ও তামিলনাডু উপকূলের অভিমুখ হতে চলেছে আসন্ন নিম্নচাপের। একটি অক্ষরেখা রয়েছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে এই সিস্টেম থেকে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া? আজ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই শুষ্ক আবহাওয়া। সকালের দিকে হালকা কুয়াশা বা ধোঁয়াশা দেখতে পাওয়ার সম্ভবণা। বেলা বাড়লে কোথাও আংশিক মেঘলা আকাশের সম্ভাবনা। বৃষ্টির কোনও সম্ভবনা আপাতত নেই। রবিবার ও সোমবার জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমীর দিন হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা উপকূলের জেলাগুলিতে।পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলাতে হালকা বৃষ্টির সম্ভবনা। বিক্ষিপ্তভাবে দু এক জায়গায় এক পশলা বৃষ্টি হতে পারে। কবে থেকে বঙ্গে শীত? হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, নভেম্বরের মাঝামাঝি আবহাওয়ার পরিবর্তনের ইঙ্গিত। উত্তুরে হওয়া বইবার সম্ভবনা। নভেম্বরের ১৫ তারিখের থেকেই পারা পতনের সাক্ষী থাকবে বাংলা। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই শীতের আমেজ দেখতে পাওয়া যাবে নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে।

নলপুরে সেকেন্দ্রেবাদ-শালিমার এক্সপ্রেসের ৩ বগি লাইনচ্যুত

শালিমারে ঢোকার আগে নলপুরের কাছে ট্রেন দুর্ঘটনা। সেকেন্দ্রেবাদ-শালিমার এক্সপ্রেসের পর পর তিনটি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে। তার মধ্যে একটি পার্সেল ভ্যান হলেও দু’টি কামরায় যাত্রীরা ছিলেন। দুর্ঘটনার জেরে রেলের দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। ট্রেন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হয়েছেন যাত্রীরা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেন থেকে অনেকে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। লাইনচ্যুত কামরাগুলি সরিয়ে কখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যাবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ওমপ্রকাশ চরণ বলেন, ‘‘সকালে ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ সেকেন্দ্রাবাদ-শালিমার সাপ্তাহিক এক্সপ্রেসের দু’টি কামরা এবং একটি পার্সেল ভ্যান খড়্গপুর ডিভিশনে নলপুরের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় লাইনচ্যুত হয়েছে। যাত্রীদের কারও বড় কোনও আঘাত লাগেনি। হতাহতের কোনও খবর নেই। সাঁতরাগাছি এবং খড়্গপুর থেকে সহায়ক ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। যাত্রীদের গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১০টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।’’