১২ বছর ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে সিরিজ হার ভারতের

স্পোর্টস ডেস্ক: ১২ বছর পর ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হারতে হয়েছে ভারতকে। এমন জায়গায় এসে যখন এই সিরিজের উপর ভারতের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা অনেকটাই নির্ভর করছে। কিন্তু এই হারকে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বেশি কাটাছেঁড়া করতে চাইছেন না ভারত অধিনায়ক। আর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হার থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনে খেলতে নামতে চান তিনি। ম্যাচ শেষে কী কী জানালেন রোহিত শর্মা? একনজরে দেখে নেওয়া যাক- “ব্যাটারদের রান করতে হবে। ম্যাচ জিততে হলে সেটা খুব জরুরি। আমরা কিছু কিছু পরিস্থিতিতে খারাপ খেলেছি। ব্যাটারেরা জানত তাদের কী করতে হবে, কী ভাবে খেলতে হবে। কিন্তু তারা সেটা করতে পারেনি। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারেরা পেরেছে। তাই ওরা জিতেছে।” “যখন আমরা জিতি তখন সেই কৃতিত্ব গোটা দলের। তা হলে হারলে তার দায় সকলকেই নিতে হবে। তবে আমি বেশি ভাবছি না। দুটো মাত্র টেস্ট হেরেছি। এত কাটাছেঁড়ার কী আছে। ১২ বছর পর একটা সিরিজ তো হারতেই পারি। গত তিন-চার বছরের কথাই ধরুন। এই ব্যাটারেরাই কঠিন পিচে ভাল ব্যাট করেছে। দলকে জিতিয়েছে।” “আমরা ভাল ক্রিকেট খেলেছি বলেই আমাদের উপর সকলের প্রত্যাশা বেড়ে গিয়েছে। এখন সকলে ভাবে আমরা নামলেই জিতব। কিন্তু বাকি দলগুলোও তো আমাদের দেখছে। ওরা দেখছে যে আমরা কী ভাবে খেলছি। আমরা কেন এত সফল? সেই অনুযায়ী ওরাও পরিকল্পনা তৈরি করছে। নিউজিল্যান্ডের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। কয়েকটা দিন খারাপ হতেই পারে। যদি আমরা টানা হারতাম তা হলে ভয়ের ব্যাপার হত। তা তো হয়নি। আমরা দেশের মাটিতে দাপট দেখিয়েছি। তাই এই দুই হারে এত ভাবার কিছু নেই।” “ক্রিকেটে সকলে নিজের শক্তির উপর বেশি বিশ্বাস করে। দুর্বলতার কথা কম ভাবে। শক্তি অনুযায়ী খেললেই সাফল্য আসে। আমরাও সেটাই করেছি। নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছি। হ্যাঁ, হতে পারে এই সিরিজ়ে আমাদের পরিকল্পনা কাজে আসেনি। নিউজিল্যান্ড আমাদের থেকে এগিয়ে থেকেছে। তাই বলে তো আর একটা গোটা সিস্টেম বদলে ফেলব না। আমাদের খেলার ধরন একই থাকবে। এই দুই টেস্টে কোথায় কোথায় ভুল করেছি তা শুধরে পরের টেস্টে নামব।” “এই টেস্টে পেসারদের কিছু করার ছিল না। নিউজিল্যান্ডও তিন স্পিনার খেলিয়েছে। আমরাও। ওয়াশিংটন সুন্দর যে ভাবে বল করেছে তার জন্য আমি গর্বিত। সব রকম পরিস্থিতির কথা ভেবে আমাদের দল তৈরি করতে হয়। ভারতের মাটিতে আমরা ভালই খেলি। আগের সিরিজেও সেটা দেখা গিয়েছে। এই সিরিজ়ে পারিনি। তবে দুটো টেস্ট হেরে যাওয়ায় বেশি ভাবার কিছু নেই।” “হতে পারে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠা আমাদের জন্য একটু কঠিন হল। কিন্তু এখনও সে সব অনেক দূর। এই দুই টেস্টে কোথায় কোথায় ভুল হল তা নিয়ে একটা আলোচনা করব। পরের টেস্ট জেতার জন্য নামব।”

নবান্নে কী জানালেন মুখ্যমন্ত্রী? পড়ুন

কলকাতা: রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে দুর্যোগ-পরবর্তী পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কোনও শৈথিল্য রাখতে চাইছে না নবান্ন। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে সংশ্লিষ্ট জেলার পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বসেই প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন তিনি। বিশেষ ভাবে নজর দিতে বলেন উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার পরিস্থিতির উপরে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দুর্যোগে বহু চাষের জমি নষ্ট হয়েছে।” এই সূত্রেই তিনি কৃষকদের ক্ষতি কতটা, তা যাচাই করতে সমীক্ষা করানোর নির্দেশ দেন। বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষজন যাতে এখনই নিজেদের বাড়ি না ফেরেন, তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি জমা জল থেকে মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাবের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মশারি বিলির পরামর্শ দেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, “যেখানে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ রয়েছে, সেখানে মশারি দিতে হবে।” আবহাওয়া পরিস্থিতির সম্পূর্ণ উন্নতি না-হওয়া পর্যন্ত ত্রাণ শিবিরগুলি চলবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন রোগের হানা রুখতে মেডিক্যাল ক্যাম্প চালানোর নির্দেশ দেন তিনি। পর্যাপ্ত ত্রাণের বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কতদিন বৃষ্টি চলবে কলকাতা আর দক্ষিণবঙ্গে?

কলকাতা: আজ অর্থাৎ শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে, জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টি কমলেও এখনই অবশ্য বর্ষণে বিরাম নেই। আগামী ছ’দিন কমবেশি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। আলিপুরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার থেকে পরবর্তী ছ’দিন দক্ষিণবঙ্গের সব ক’টি জেলাতেই কমবেশি বৃষ্টি হতে পারে। বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা অথবা মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণবঙ্গ। এখনও পর্যন্ত যা পূর্বাভাস, তাতে কালীপুজোতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে কোথাও কোথাও। উত্তরবঙ্গের কোথাও আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে, হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায় শুধু আবহাওয়া সংক্রান্ত সতর্কতা জারি করা থাকছে। সেগুলি হল ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পূর্ব মেদিনীপুর। বিক্ষিপ্ত ভাবে এই সব জেলায় শনিবারও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে বাকি আর কোনও জেলাতেই শনিবার আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও সতর্কতা নেই।

একনজরে দেখে নিন অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের স্কোয়াড

স্পোর্টস ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য দল ঘোষণা করল বিসিসিআই (BCCI)। আর সেই দলে সুযোগ পেলেন না মহম্মদ শামি। যদিও বোর্ড আলাদা করে উল্লেখ করেনি ক’টি টেস্টের দল ঘোষণা হয়েছে। ফলে পুরো সিরিজ়ের দলই ঘোষণা করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই গোটা সিরিজেই পাওয়া যাবে না শামিকে। আবার এই দলে বাংলা থেকে ৩ জন ক্রিকেটার সুযোগ পেয়েছেন। অভিমন্যু ঈশ্বরণ এবং আকাশ দীপ রয়েছেন, সঙ্গে রিজার্ভে রাখা হয়েছে মুকেশ কুমারকে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সাধারণত ১৫ জনের দল ঘোষণা করা হয়। তবে ১৮ জনের দল ঘোষণা বিরল ব্যাপার। বোর্ড বিবৃতিতে জানিয়েছে, কুলদীপ যাদবের দীর্ঘ দিন ধরে বাঁ দিকের কুঁচকিতে চোট রয়েছে। তা সারানোর জন্য নিউজিল্যান্ডের সিরিজের পরেই তাঁকে বোর্ডের উৎকর্ষ কেন্দ্রে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাই অস্ট্রেলিয়াগামী দলে তিনি জায়গা পাননি। তবে শামিকে নিয়ে একটা কথাও লেখা হয়নি। এবার দেখে নেওয়া যাক অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের স্কোয়াড– রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), যশপ্রীত বুমরা (সহ-অধিনায়ক), যশস্বী জয়সওয়াল, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, কেএল রাহুল, ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার), সরফরাজ খান, ধ্রুব জুরেল (উইকেটকিপার), রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাডেজা, মহম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, হর্ষিত রানা, নীতীশ কুমার রেড্ডি, ওয়াশিংটন সুন্দর। রিজার্ভ: মুকেশ কুমার, নবদীপ সাইনি, খলিল আহমেদ। উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়া সফরে পাঁচটি টেস্ট খেলবে ভারত। প্রথম টেস্ট পার্থে (২২-২৬ নভেম্বর), দ্বিতীয় টেস্ট অ্যাডিলেডে (দিন-রাতের, ৬-১০ ডিসেম্বর), তৃতীয় টেস্ট ব্রিসবেনে (১৪-১৮ ডিসেম্বর), চতুর্থ টেস্ট মেলবোর্নে (২৬-৩০ ডিসেম্বর) এবং সিডনি (৩-৭ জানুয়ারি ২০২৫) হবে শেষ অর্থাৎ পঞ্চম টেস্ট।