হলফনামায় সম্পত্তির পরিমান কত জানালেন প্রিয়াঙ্কা?

ওয়েব ডেস্ক: বুধবার মা সনিয়া গান্ধী, দাদা রাহুল, স্বামী রবার্ট এবং কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে ওয়েনাড়ে গিয়ে একটি ‘রোড শো’ করার পরে মনোনয়ন জমা দেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। রাহুলের ছেড়ে দেওয়া ওয়েনাড় কেন্দ্রে আগামী ১৩ নভেম্বর উপনির্বাচন হবে। গণনা আগামী ২৩ নভেম্বর। এবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সম্পত্তির পরিমান কত, তা জানতে কৌতূহলের অন্ত নেই। তাই তাঁর সম্পত্তির পরিমান কত, সে বিষয়ে সূত্র মারফৎ তিনি হলফনামায় কি জানিয়েছেন তা একবার দেখে নেওয়া যাক- প্রিয়াঙ্কার দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর মোট স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির আমুমানিক মূল্য ১২ কোটি টাকা। তাঁর মধ্যে অস্থাবর সম্পত্তি ৪ কোটি ২৪ লক্ষের। তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা অর্থ, পিপিএফ, স্বামী রবার্ট বঢরার উপহার দেওয়া গাড়ি এবং আনুমানিক ১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার সোনার অলঙ্কার রয়েছে এই তালিকায়। ওয়েনাড়ের কংগ্রেস প্রার্থীর হলফনামা বলছে, তাঁর ৭ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকার অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে দিল্লির মেহরৌলি এলাকার পারিবারিক কৃষিজমি এবং ফার্ম হাউসের অংশীদারি। এ ছাড়া হিমাচল প্রদেশের শিমলায় একটি বাড়ি রয়েছে প্রিয়ঙ্কার। যার আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা। নির্বাচনী হলফনামায় প্রিয়ঙ্কা জানিয়েছেন তাঁর স্বামী রবার্টের ৩৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার অস্থাবর এবং ২৭ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে।

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ইউনুস সরকার

ঢাকা: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের ছাত্রশাখা ছাত্রলীগকে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করল মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ কথা জানানো হয়েছে। লিখিত বিবৃতিতে একই কথা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর দফতরের সিনিয়র সচিব মহম্মদ আবদুল মোমেনও। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ইউনুস সরকারে জানিয়েছে, ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ অনুযায়ী এই পদক্ষেপ। ওই আইনের তফসিল-২–এ ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামের ছাত্রসংগঠনকে নিষিদ্ধ তালিভুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা–পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে, বিশেষ করে বিগত ‘১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনে’ (হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়) আওয়ামী লীগের শাখা সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন-সহ নানা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। এমনকী গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী জড়িত সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে দাবি অন্তর্বর্তী সরকারের।