দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

কলকাতা: কালীপুজোর আগের সপ্তাহে ২৩ থেকে ২৬ অক্টোবর দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মধ্য আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫.৮ কিলোমিটার উপরে রয়েছে সেই ঘূর্ণাবর্ত। আর এই ঘূর্ণাবর্ত ধীরে ধীরে শক্তি বৃদ্ধি করে সেটি ২৩ অক্টোবর, অর্থাৎ আগামী বুধবার নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তার প্রভাবে ২৩ থেকে ২৬ অক্টোবর রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ওই সময় পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। জেলার সব জায়গায় বৃষ্টি হবে না। কিছু অংশে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
ধর্মতলার অনশন মঞ্চে ফোনে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

কলকাতা: ধর্মতলার অনশনমঞ্চ থেকে মুখ্যসচিবের ফোনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বললেন একাধিক অনশনকারীর সঙ্গে। অনুরোধ করেন অনশন তুলে নিতে। পাশাপাশিই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ ছাড়া আন্দোলনকারীদের সমস্ত দাবির সঙ্গেই তিনি সহমত। আগামী সোমবার বিকাল ৫টায় নবান্নে আন্দোলনকারীদের বৈঠকে ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই কথোপকথনের পরে অনশনকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা বৈঠকে যাবেন। কিন্তু অনশন চলবে। তবে দু’টি বিষয় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমত, আন্দোলনকারীদের তরফে ১০ জনের বেশি প্রতিনিধি যেন ওই বৈঠকে না থাকেন। দুই, ওই প্রতিনিধিরা যেন বৈঠকে পৌঁছতে বিলম্ব না-করেন। এখন দেখার, সোমবারের বৈঠকের পরে অনশন উঠে গিয়ে অচলাবস্থা কাটে কি না। শুক্রবার রাতে সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের পরে জুনিয়র ডাক্তারেরা হুঁশিয়ারি দেন, সোমবারের মধ্যে তাঁদের ১০ দফা দাবি মানা না-হলে আগামী মঙ্গলবার স্বাস্থ্য পরিষেবায় ‘সর্বাত্মক’ ধর্মঘট হবে। ঘটনাচক্রে, তার পরে ২৪ ঘণ্টা কাটতে না-কাটতেই শনিবার দুপুরে ধর্মতলার অনশনমঞ্চে পৌঁছে যান মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। যান স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীও। সেখান থেকেই নিজের ফোনে পন্থ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের কথা বলিয়ে দেন। ফোনবার্তায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানান মমতা। তবে পাশাপাশিই তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, স্বাস্থ্যসচিব নায়ারণস্বরূপ নিগমকে সরানোর দাবি মানা সম্ভব নয়।
৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে সন্দীপ-অভিজিৎ

কলকাতা: আরজি কর-কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটে অভিযুক্ত আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিতের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের আবেদন করে সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত দু’জনেই জেল হেফাজতে থাকবেন। সন্দীপের নার্কো পরীক্ষা এবং অভিজিতের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করাতে চেয়ে শিয়ালদহ আদালতে আবেদন করেছিল সিবিআই। দু’জনেই ‘সত্য যাচাই’-এর পরীক্ষা করানোর অনুমতি দেননি। সন্দীপ এবং অভিজিৎকে শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হয়। আরজি করের চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করে সিবিআই। শুক্রবার সিবিআই আদালতে দাবি করেছে, সন্দীপ এবং অভিজিতের ফোন থেকে কিছু ‘তদন্তসাপেক্ষ’ ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার আরও দাবি, ঘটনা চাপা দিতে ধৃতদের মোবাইল থেকে বেশ কিছু ফোনকলও করা হয়েছিল। কয়েক জন সাক্ষীকে ফোন করেছিলেন তাঁরা। এই বিষয়গুলিই বেশি করে খতিয়ে দেখতে চাইছে বলে আদালতে জানায় সিবিআই। সে কারণে তাদের তরফে দুই অভিযুক্তকে আরও জেরা করতে চেয়ে তাঁদের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের আবেদন করা হয়।
এবার সর্বাত্মক ধর্মঘটের হুঁশিয়ার

কলকাতা: ১০ দফা দাবি নিয়ে ‘আমরণ অনশনে’ বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। আরজি কর-কাণ্ডের বিচার, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পরিবর্তনের দাবিতে গত দু’মাসের বেশি সময় ধরে তাঁদের আন্দোলন চলছে। শুক্রবার সিনিয়র এবং জুনিয়র ডাক্তাররা বৈঠকে বসেছিলেন। বৈঠক শেষে জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার জানান, ‘‘সোমবার পর্যন্ত আমরা একটা সময়সীমা দিচ্ছি। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে আমাদের সব ক’টি দাবি মানার জন্য আলোচনায় বসতে হবে এবং সব ক’টি দাবি মেনে নিতে হবে। যদি তা না হয় তবে আগামী মঙ্গলবার সিনিয়র এবং জুনিয়র ডাক্তারদের সমস্ত সংগঠন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে সর্বাত্মক ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হব।’’ দেবাশিস এও জানান, সিনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করেই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।