সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি সদগুরুর!

ওয়েব ডেস্ক: সদগুরুর আশ্রমের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত এক অধ্যাপক। অভিযোগকারীর দাবি, তাঁর দুই কন্যাকে ‘ওই আশ্রমে থেকে যাওয়ার জন্য মগজধোলাই’ করা হয়েছিল। এমনকি পরিবারের সঙ্গেও দুই কন্যাকে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। সেই নিয়ে আগে মামলা চলছিল মাদ্রাজ হাই কোর্টে। এরপর কোয়েমবত্তূরে অবস্থিত সদগুরুর ওই আশ্রমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে দেখার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সদগুরুর প্রতিষ্ঠান। তারপরই এদিন সুপ্রিম কোর্টে বড় স্বস্তি পেলেন সদগুরু। তাঁর আশ্রমের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে মামলার নিষ্পত্তি করল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। মাদ্রাজ হাই কোর্টের নির্দেশের উপর আগেই স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার সব অভিযোগ খারিজ করল শীর্ষ আদালত।
ইডির মুখোমুখি তমন্না

ওয়েব ডেস্ক: গুয়াহাটিতে আর্থিক তছরূপের ঘটনায় অভিনেত্রী তমন্না ভাটিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি। একটি মোবাইল অ্যাপকে কেন্দ্র করে এই তদন্ত শুরু হয়েছে। অর্থ বিনিয়োগ সংক্রান্ত কাজ করে এই অ্যাপ। ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ভাবে অর্থ বিনিয়োগ করে এই অ্যাপে। এই সংস্থার হয়ে একটি অনুষ্ঠানে সেলেব্রিটি মুখ হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তমন্না ভাটিয়া। তমন্নাকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছিল। এই মর্মেই অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও অভিযোগ নেই। উল্লেখ্য, অগাস্টে একসঙ্গে দু’টি ছবি মুক্তি পায় তমন্নার— ‘স্ত্রী ২’ ও ‘বেদা’। ‘বেদা’ ছবিতে তমন্নাকে দেখা গিয়েছে জন আব্রাহাম, শর্বরী ওয়াঘ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ক্ষীতিজ চৌহান ও নিখিল আডবানীর সঙ্গে। ‘স্ত্রী ২’ ছবিতে একটি ক্যামিয়ো চরিত্রে অভিনয় করেন তমন্না। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কপূর ও পঙ্কজ ত্রিপাঠী।
শিয়ালদহ ইএসআই হাসপাতালে আগুন

কলকাতা: শুক্রবার ভোর ৫টা নাগাদ শিয়ালদহ ইএসআই হাসপাতালের দোতলা থেকে কালো ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। খবর দেওয়া হয় দমকলকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। দমকলের তরফে জানানো হয়, সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। আগুন লাগার খরব পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সেখানে পৌঁছয় নারকেলডাঙা থানার পুলিশও। আগুনের সম্ভাব্য উৎসস্থল মেল সার্জারি ওয়ার্ডের আশপাশ থেকে তো বটেই, আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় তিনতলা থেকেও রোগীদের নামিয়ে আনা হয়। দমকলমন্ত্রী বলেন, “পুজোর কারণে অনেক রোগীই ছুটি পেয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। বড় ক্ষয়ক্ষতি কিংবা প্রাণহানি এড়ানো গিয়েছে। দমকলকর্মীরা সাহসের সঙ্গে কাজ করেছেন।” জানা গিয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় রোগীদের। ওই হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৮০ জন রোগীর মধ্যে কয়েক জনকে মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কয়েক জনকে হাসপাতালের অন্যত্র নিরাপদ স্থানে সরানো হয়।
মুখ্যমন্ত্রীকে কি আর্জি জানালেন অনিকেত?

কলকাতা: ১০ অক্টোবর অসুস্থ অবস্থায় অনিকেত মাহাতকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান অনিকেত। শুধু অনিকেতই নন, আরও পাঁচ জন জুনিয়র ডাক্তার অনশনে থাকতে থাকতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন অনিকেত। হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর তিনি বলেন, “অনশনকারীরা ধীরে ধীরে অসুস্থ হচ্ছেন। আমি মনে করি, প্রশাসন এবং মুখ্যমন্ত্রীর অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করা উচিত। আমাদের ১০ দফা দাবির যৌক্তিকতাকে মেনে অতি দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ করা উচিত।” প্রসঙ্গত, জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন কর্মসূচি বৃহস্পতিবার ১৩ দিনে পড়ল। ৫ অক্টোবর রাত সাড়ে পাঁচটা থেকে শুরু হয়েছিল অনশন কর্মসূচি। অনিকেত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও, পাঁচ জুনিয়র ডাক্তার (কলকাতায় তিন জন, উত্তরবঙ্গে দু’জন) এখনও চিকিৎসাধীন। আপাতত ধর্মতলা ও শিলিগুড়ি মিলিয়ে আট জন জুনিয়র ডাক্তার ‘আমরণ অনশন’ চালাচ্ছেন। তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও আপাতত অনশনমঞ্চে ফেরার সম্ভাবনা নেই অনিকেতের। তিনি জানিয়েছেন, ডাক্তারেরা তাঁকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সেই পরামর্শ মেনেই আপাতত চলবেন তিনি। পরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে বাকি বিষয়গুলি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন অনিকেত।