রাজ্যে বৃষ্টি কতদিন চলবে?

ওয়েব ডেস্ক: ইতিমধ্যেই পার্শ্ববর্তী বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে ইতিমধ্যে বর্ষা বিদায় নিতে শুরু করেছে। আগামী দু’দিনে ওই রাজ্যগুলি থেকে বর্ষা পুরোপুরি বিদায় নিতে পারে। পাশাপাশি বর্ষা বিদায়ের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও সিকিমের কিছু অঞ্চলেও। মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, আগামি সোমবারের মধ্যেই বাংলার কিছু জায়গা থেকে বর্ষা বিদায় নেওয়ার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। পাশাপাশি আগামী সপ্তাহে কলকাতা-সহ দক্ষিণের কিছু জেলায় দুই-এক জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হতে পারে। যদিও ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের আকাশ মূলত শুষ্কই থাকার সম্ভাবনা। সপ্তাহের শেষের কয়েকটি দিন এই জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আর উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও আপাতত ভারী বৃষ্টির আর কোনও পূর্বাভাস নেই।
বাংলাদেশকে ১৩৩ রানে হারাল ভারত

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রথম দুই ম্যাচ জিতে টি২০ সিরিজ আগেই জিতে নিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। শনিবারের ম্যাচ ছিল নিয়মরক্ষার। আর এই ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজ হোয়াইট ওয়াশ করল ভারত। সেই সঙ্গে ৫টি বিশ্বরেকর্ড। এদিনে ম্যাচে আইসিসির টেস্ট খেলিয়ে দেশগুলির মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তোলে ভারত। শনিবার ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ২৯৭ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৬৪ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। ভারত জেতে ১৩৩ রানে। ভারতের হয়ে বল হাতে ৩টি উইকেট নেন রবি বিষ্ণোই, ২টি উইকেট নেন মায়াঙ্ক যাদব এবং ১টি করে উইকেট নেন ওয়াশিংটন সুন্দর ও নীতীশ রেড্ডি। আর বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন তহিদ হৃদয়। ৪২ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন। যোগ সঙ্গত দিয়েছিলেন লিটন দাস। কিন্তু আর কোনও ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেনি ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এদিন বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন সঞ্জু স্যামসন। ৪০ বলে সেঞ্চুরি করেন সঞ্জু। সেই সঙ্গে টি২০ ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরিও। যোগ্য সঙ্গত দেন ভারত অধিনায়ক সূর্য কুমার যাদব। ৭৫ রানের ঝোড়ে ইনিংস খেলে দ্বিতীয় উইকেটে সঞ্জুর সঙ্গে ১৭৩ রানে পার্টনারশিপ গড়েন সূর্য। এরপর ভারতের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান রিয়ান পরাগ (৩৪) এবং হার্দিক পান্ডিয়া (৪৭)। শেষ বলে রিঙ্কু সিং ৬ মেরে ভারতকে পৌঁছে দেন ২৯৭ রানের স্কোরে।
কী কী রেকর্ড হল দেখে নিন একনজরে

স্পোর্টস ডেস্ক: আইসিসির টেস্ট খেলিয়ে দেশগুলির মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তুলল ভারত। শনিবার ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ২৯৭ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া। এখানেই শেষ নয়, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি২০-তে ৫টি বিশ্বরেকর্ড গড়ে টিম ইন্ডিয়া। সেগুলি কী কী দেখে নেওয়া যাক- ১) টেস্ট খেলিয়ে দেশগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক রান ভারতের। ২৯৭ রান। ২) একটি ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬ মারার রেকর্ডও গড়ল ভারত। ২২টি ছয়। ৩) যুগ্মভাবে পাওয়ার প্লে তে সর্বোচ্চ রান ভারতের। ৬ ওভারে ৮২ রান। ৪) প্রথম টিম হিসেবে দ্রুততম ১০০ রান ভারতের। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত ১০০ রান করে ৭.২ ওভারে। ৫) প্রথম টিম হিসেবে দ্রুততম ২০০ রান ভারতের। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত ২০০ রান করে ১৩.৬ ওভারে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এদিন বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন সঞ্জু স্যামসন। ৪০ বলে সেঞ্চুরি করেন সঞ্জু। সেই সঙ্গে টি২০ ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরিও। যোগ্য সঙ্গত দেন ভারত অধিনায়ক সূর্য কুমার যাদব। ৭৫ রানের ঝোড়ে ইনিংস খেলে দ্বিতীয় উইকেটে সঞ্জুর সঙ্গে ১৭৩ রানে পার্টনারশিপ গড়েন সূর্য। এরপর ভারতের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান রিয়ান পরাগ (৩৪) এবং হার্দিক পান্ডিয়া (৪৭)। শেষ বলে রিঙ্কু সিং ৬ মেরে ভারতকে পৌঁছে দেন ২৯৭ রানের স্কোরে।
টি২০ ক্রিকেটে ভারতের নয়া রেকর্ড

স্পোর্টস ডেস্ক: আইসিসির টেস্ট খেলিয়ে দেশগুলির মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে (T20I) এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তুলল ভারত। শনিবার ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ২৯৭ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া। আর সার্বিকভাবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবথেকে বেশি রানের রেকর্ড আছে নেপালের ঝুলিতে। ২০২৩ সালে মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে তিন উইকেটে ৩১৪ রান তুলেছিল। সেই রেকর্ড অক্ষত থাকল। এদিন বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন সঞ্জু স্যামসন। ৪০ বলে সেঞ্চুরি করেন সঞ্জু। সেই সঙ্গে টি২০ ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরিও। যোগ্য সঙ্গত দেন ভারত অধিনায়ক সূর্য কুমার যাদব। ৭৫ রানের ঝোড়ে ইনিংস খেলে দ্বিতীয় উইকেটে সঞ্জুর সঙ্গে ১৭৩ রানে পার্টনারশিপ গড়েন সূর্য। এরপর ভারতের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান রিয়ান পরাগ (৩৪) এবং হার্দিক পান্ডিয়া (৪৭)। শেষ বলে রিঙ্কু সিং ৬ মেরে ভারতকে পৌঁছে দেন ২৯৭ রানের স্কোরে। উল্লেখ্য, এতদিন ভারতের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল পাঁচ উইকেটে ২৬০ রান। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ইন্দোরে সেই রানটা তুলেছিল টিম ইন্ডিয়া। আজ সেই রেকর্ডও ভেঙে দিল ভারত।
‘গণইস্তফা’ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল রাজ্য সরকার

কলকাতা: একাধিক সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তারেরা ‘গণইস্তফা’-র সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু ‘গণইস্তফা’ সরকারের কাছে কোনও গ্রাহ্য পদত্যাগ নয়। এদিন বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এ কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “প্রতিটি ক্ষেত্রেই ‘গণইস্তফা’-র কথা উল্লেখ রয়েছে। সার্ভিস রুল অনুসারে, ইস্তফাপত্র অবশ্যই ব্যক্তিগত ভাবে দিতে হয়। না হলে সেটি পদত্যাগপত্র নয়। এই ‘গণইস্তফা’ কোনও গ্রাহ্য পদত্যাগ নয়। এই বিষয়ে সরকার বিভ্রান্তি দূর করতে চায়। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে এগুলি জমা পড়েছে।” উল্লেখ্য, জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন কর্মসূচির শনিবার অষ্টম দিনে পড়ল। গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছে অনশন। নির্যাতিতার বিচার, হাসপাতালের নিরাপত্তা এবং পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে ১০ দফা দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তারেরা। শুক্রবার রাতে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জুনিয়র ডাক্তারদের অনুরোধ জানিয়েছেন অনশন প্রত্যাহার করার জন্য। পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভবনের তরফেও শুক্রবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জুনিয়র ডাক্তারের দাবির তালিকায় থাকা বিভিন্ন কাজের খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে। দেড় পাতার ওই বিবৃতি জানাচ্ছে, চিকিৎসক এবং চিকিৎসাকর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ জুড়ে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘আমরা মোট ৭০৫১ট সিসিটিভি, ৮৯৩টি নতুন ডিউটি রুম এবং ৭৭৮টি ওয়াশরুম তৈরি করছি। পাশাপাশি, যথাযথ আলোর ব্যবস্থা, অ্যালার্ম সিস্টেম এবং বায়োমেট্রিক অ্যাক্সেস কন্ট্রোল রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালগুলিতে বসানো হচ্ছে।’’