ধর্মতলায় আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা

কলকাতা: ধর্মতলায় আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রাথমিকভাবে শনিবার ৬ জন অনশনে বসছেন। এদিন সময়সীমা শেষ হতেই জুনিয়র ডাক্তারেরা সাংবাদিক বৈঠক জানান, ‘‘নির্যাতিতার ন্যায়বিচার এখনও অধরা।’’ জুনিয়র ডাক্তারেরা বলেন, ‘‘জয়নগরের ঘটনাই পরিষ্কার করে দিয়েছে কেউ কোথাও সুরক্ষিত নন। ডাক্তার, রোগীদের সুরক্ষার মতো দাবি নিয়ে আমরা এগিয়েছি। কিন্তু নিরাপত্তা এখনও অধরা।’’ সিবিআইয়ের উপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারছেন না জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের কথায়, ‘‘সিবিআইয়ের তদন্তের উপর আমাদের আস্থা ছিল। কিন্তু এখন বলছি সম্পূর্ণ আস্থা নেই। আদালতে যে শুনানি হচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে না, তদন্ত ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে।’’ উল্লেখ্য, ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানের অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার রাত থেকে মেট্রো চ্যানেলের সামনে ধর্নায় বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেই কর্মসূচির জন্য পুলিশের অনুমতি চেয়ে ইমেল করা হয়েছিল। শনিবার সকালে সেই ইমেলের জবাব দিয়েছে লালবাজার। স্পষ্ট জানানো হয়, পুজোর আগে এই সময়ে ধর্মতলা এলাকায় ভিড় বেশি থাকে। তাই সেখানে অবস্থান কর্মসূচি চললে সাধারণ মানুষের সমস্যা হবে। ধর্মতলায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণেও সমস্যা হতে পারে। সেই কারণেই ডাক্তারদের কর্মসূচিতে অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না।
এসএসকেএম হাসপাতালে আইভিএফ পদ্ধতিতে জন্ম হল এক শিশুকন্যার

কলকাতা: শুক্রবার কলকাতার এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে আইভিএফ পদ্ধতিতে জন্ম হয়েছে এক শিশুকন্যার। এই প্রথম কোনও সরকারি হাসপাতালে হল ‘টেস্টটিউব বেবি’। শুধু তাই নয়, একেবার নিখরচায়। জানা গিয়েছে, টেস্ট টিউব বেবি অর্থাৎ সদ্যোজাতের ওজন প্রায় তিন কেজির কাছাকাছি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মা এবং শিশু, দু’জনেই সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন। জানা গিয়েছে, প্রসূতির বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। নানা শারীরিক সমস্যা থাকায় স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তানধারণে নানা সমস্যা ছিল তাঁর। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথম এসএসকেএমের ওপিডিতে আসেন ওই দম্পতি। এর পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তানধারণ করেন মহিলা। শেষমেশ শুক্রবার কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তান যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

নয়া দিল্লি: ৯ বছর পর ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী পাকিস্তানে যাচ্ছেন। এর আগে ২০১৫ সালে শেষ বার পাকিস্তানে গিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-র বৈঠকে যোগ দিতে সেখানে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এ বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার বলেন, ‘‘১৫ এবং ১৬ অক্টোবর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে এসসিওর বৈঠক রয়েছে। সেখানে আমাদের প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেবেন বিদেশমন্ত্রী।’’ তবে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে যে, পাকিস্তানে শুধু সম্মেলনেই যোগ দেবে প্রতিনিধি দল। প্রতিবেশী দেশের সরকারের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক কোনও বৈঠকে বসার সম্ভাবনা নেই।
সোনার দাম কি বাড়ছে?

কলকাতা: রিপোর্ট অনুযায়ী, জিএসটি এবং টিসিএস বাদে কলকাতায় ২৪ ক্যারেট পাকা সোনার বাটের দাম প্রতি গ্রামে ৭৬২০ টাকা। প্রতি ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারেট পাকা সোনা বাটের দাম আজ ৭৬২০০ টাকা। অপরদিকে, জিএসটি এবং টিসিএস বাদে আজ কলকাতায় ২৪ ক্যারেট খুচরো পাকা সোনার দাম প্রতি গ্রামে ৭৬৬০ টাকা। প্রতি ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারেট পাকা সোনার দাম আজ ৭৬৬০০ টাকা। জিএসটি মিলিয়ে এই দাম গিয়ে পৌঁছচ্ছে ৭৮,৮৯৮ টাকায়। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবারের তুলনায় আজ কলকাতার দোকানগুলিতে খুচরো পাকা সোনা ও সোনার বাটের দাম ১০ গ্রামে ৪৫০ টাকা করে বেড়েছে। অন্যদিকে, জিএসটি এবং টিসিএস বাদে আজ কলকাতায় ২২ ক্যারেট গয়নার হলমার্ক সোনার দাম প্রতি গ্রামে ৭২৮০ টাকা। প্রতি ১০ গ্রাম ২২ ক্যারেট গয়নার হলমার্ক সোনার দাম আজ ৭২৮০০ টাকা।
জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মতলায় অবস্থানের অনুমতি দিল না পুলিশ

কলকাতা: আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে বিচার এবং হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা-সহ একাধিক দাবিতে আন্দোলন চলছে। আর শুক্রবার রাত থেকে মেট্রো চ্যানেলের সামনে ধর্নায় বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। রাতে এই কর্মসূচির জন্য পুলিশের অনুমতি চেয়ে ইমেল করা হয়েছিল। শনিবার সকালে সেই ইমেলের জবাব দিয়েছে লালবাজার। অবস্থান কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে ডাক্তারদের। লালবাজার থেকে ডাক্তারদের কাছে যে ইমেল গিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ‘‘শুক্রবার রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে ধর্মতলায় ধর্না এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। ট্র্যাফিকের দিকটি মাথায় রেখে সেই আবেদনে সাড়া দেওয়া যাচ্ছে না। এই কর্মসূচির জন্য সাধারণ মানুষের সমস্যা হতে পারে। রাস্তায় দীর্ঘ যানজট তৈরি হতে পারে। পুজোর মুখে ধর্মতলা এলাকায় প্রচুর মানুষ কেনাকাটা করতে যাচ্ছেন। পুজোর প্রস্তুতি পর্বে এখন প্রতি দিনই সেখানে খুব ভিড় হচ্ছে। এ ছাড়া, বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই পুজোর আগে এই কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়বেন। এলাকার শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে।’’