প্রথম টেস্টে পিচ কেমন হবে?

স্পোর্টস ডেস্ক: ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু প্রথম টেস্ট। তার আগে অনুশীলন শুরু করেছে ভারতীয় দল। কিন্তু পিচ কেমন হবে সেই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে যতদূর জানা গিয়েছে, চেন্নাইতে লাল মাটির পিচে খেলা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। চেন্নাইয়ে দু’ধরনের পিচ রয়েছে। একটি লাল মাটির, অন্যটি কালো। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট হতে পারে লাল মাটির পিচে। নেটে লাল মাটির পিচে ভারতীয় পেসারদের বল করতে দেখা গেল। বাংলাদেশের ক্রিকেটারেরা ঘরের মাঠে কালো মাটির পিচে খেলতে অভ্যস্ত। সেই পিচ মন্থর। ভারত তাই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এমন পিচ চাইছে, যেখানে লাল মাটির প্রাধান্য রয়েছে। পিচে ঘাসও থাকবে। সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যে পিচ ঢেকে দেওয়া হচ্ছে, যাতে তা রোদে শুকিয়ে ফেটে না যায়। ২০১৯ সালে শেষ বার টেস্ট খেলতে ভারতে এসেছিল বাংলাদেশ। সে বার ইনদওর এবং কলকাতায় পেস সহায়ক পিচ বানানো হয়েছিল।
রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ারও ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা: শনিবার স্বাস্থ্য ভবনের কাছে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান মঞ্চে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা করলেন। পাশাপাশি রাজ্যের সব হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ারও ঘোষণা করলেন। গত মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে পাঁচ দফা দাবিতে অবস্থান করছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। মাঝে তিন দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা ভেস্তে যায়। শনিবার মমতা নিজেই চলে গেলেন অবস্থান মঞ্চে। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিলাম। রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিচ্ছি।’’ কিছুদিন আগে নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা প্রস্তাব দিয়েছিলেন, অধ্যক্ষের সঙ্গে এক জন সিনিয়র ডাক্তার, এক জন জুনিয়র ডাক্তার, এক জন সিস্টার, স্থানীয় বিধায়ক এবং স্থানীয় থানার আইসিকে রোগী কল্যাণ সমিতিতে রাখা হোক। এ বার সেই রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিলেন।
সল্টলেকে ধর্নাস্থলে কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

কলকাতা: আচমকা শনিবার সকালে সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানেই আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে ধর্নায় বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারও। ধর্নাস্থলে জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী একনজরে দেখে নেওয়া যাক- ‘‘আমার নিরাপত্তাজনিত নানা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তা সত্ত্বেও আমি নিজে ছুটে এসেছি। আপনাদের আন্দোলনকে কুর্নিশ জানাচ্ছি। আমি আপনাদের ব্যথা বুঝি। আমিও ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে এসেছি।’’ ‘‘শুক্রবার সারা রাত ঝড়়জল হয়েছে। আপনারা যে ভাবে বসে আছেন, আমার কষ্ট হচ্ছে। গত ৩৪ দিন ধরে আমিও রাতের পর রাত ঘুমোইনি। কারণ, আপনারা রাস্তায় থাকলে আমাকেও পাহারাদার হিসাবে জেগে থাকতে হয়।’’ ‘‘যদি আপনারা কাজে ফিরতে চান, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আপনাদের দাবিগুলি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করব। আমি একা সরকার চালাই না। মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজি সকলের সঙ্গে আমি আপনাদের দাবি নিয়ে আলোচনা করব। যদি কেউ দোষী হন, শাস্তি পাবেন। সিবিআইকে অনুরোধ করব, দ্রুত তদন্ত শেষ করুন। দোষীদের ফাঁসি হোক। কেউ দোষী থাকলে আমি নিশ্চয় ব্যবস্থা নেব। এটুকু বলতেই আমি এসেছি।’’ ‘‘আপনারা আমাদের ঘরের ভাইবোন। আমি কোনও অবিচার হতে দেব না। সব হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি নতুন করে তৈরি করা হবে। তাতে জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার, নার্স, পুলিশ থাকবে। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতি আমি ভেঙে দিলাম। নতুন করে তৈরি করা হবে। বাকি আপনাদের যা দাবি আছে, যদি সত্যি কেউ দোষী হয়, তারা শাস্তি পাবে। কেউ আমার বন্ধু বা শত্রু নয়। যাঁদের আমার বন্ধু বলছেন, আমি তাঁদের চিনিই না। প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁরা এসেছেন। সাধ্যমতো পদক্ষেপের চেষ্টা করব। আপনারা কাজে ফিরুন। আমি কোনও আপনাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করব না।’’ ‘‘সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা চলছে। কোনও পদক্ষেপ আপনাদের বিরুদ্ধে করা হবে না। এখন আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এখানে আসিনি। আন্দোলনের সমব্যথী হিসাবে এসেছি। বড় দিদি এসেছি। আমাকে সময় দিন। ভাল থাকুন।’’ ‘‘আপনাদের কাছে আসা মানে নিজেকে ছোট করা নয়। বড় করা। এটা আমার শেষ চেষ্টা।’’ মমতার বক্তব্যের পর জুনিয়র ডাক্তাররা আলোচনায় বসে।