কী বললেন জুনিয়র ডাক্তাররা?

কলকাতা: লাইভ স্ট্রিমিংয়ে দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিনও বৈঠক হল না। অবস্থান মঞ্চে ফিরে গেলন জুনিয়র ডাক্তাররা। আর মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকের পর আন্দোলনকারী জুনিয়ার ডাক্তাররা জানান, “আমাদের সদিচ্ছা এখনও আছে। আশা করি, মুখ্যমন্ত্রীরও সদিচ্ছা এখনও আছে। আমরা ৩৪ দিন রাজপথে পড়ে রয়েছি। দরকার হলে, ৩৫ দিন, ৩৬ দিন, ৩৭ দিন থাকব। কিন্তু আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান বার হবে, এটা আমাদের বিশ্বাস।” তাঁদের সংযোজন, “আরজি করের ঘটনায় সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন কথা হয়েছে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বহু সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এই ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করেছেন। অনেক সরকারি আধিকারিকও করেছেন। আমরা অবস্থান মঞ্চে ফিরে যাব। জানতে পারলাম নবান্নের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদি বন্ধ হয়ে যায়, আশা করি, দরজা আবার একদিন খুলবে। আমাদের অবস্থান চলবে।”
‘আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি’

কলকাতা: আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নায় বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। এর আগে পর পর দু’দিন তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার তৃতীয় বারের জন্য বৈঠক ভেস্তে গেল। আর বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে মমতা বলেন, ‘‘তিন দিনেও সমাধান করতে পারলাম না। বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি। যাঁরা নবান্নের সামনে এসেও বৈঠকে এলেন না, তাঁদের আমি ক্ষমা করলাম। আমাকে অনেক অসম্মান করা হয়েছে। আমার সরকারকে অসম্মান করা হয়েছে। অনেক ভুল বোঝাবুঝি, কুৎসা হয়েছে। সাধারণ মানুষ রং বোঝেনি। আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি। কিন্তু ওরা বিচার চায় না। চেয়ার চায়। আশা করি মানুষ সেটা বুঝবেন।’’
দলীপে সেঞ্চুরি ঈশানের

স্পোর্টস ডেস্ক: দলীপের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত সি মুখোমুখি ভারত বি দলের। সেই ম্যাচে ঈশান কিশন (Ishan Kishan) ১১১ রান করলেন। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১২৬ বল খেলেন। গত মরসুমে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেননি ঈশান। যে কারণে বোর্ডের বার্ষিক চুক্তি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট দলে থাকলেও তাঁকে খেলানো হয়নি। তার পরেই মানসিক ভাবে তিনি অসুস্থ জানিয়ে দল ছেড়েছিলেন ঈশান। ফিরে এসে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেননি। যদিও আইপিএলের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। সেখানে খেলেছিলেন। মনে করা হয়েছিল লাল বলের ক্রিকেট খেলতে আগ্রহী নন ঈশান। সেই তিনিই বৃহস্পতিবার শতরান করলেন মুকেশ কুমারদের সামলে। ঈশান শতরান করে নির্বাচকদের বার্তা দিয়ে রাখলেন। ঋষভ পন্থ এবং ধ্রুব জুরেল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৬ জনের জায়গা করে নিয়েছেন। দলীপে শতরান করায় এ বার লড়াইয়ে ঈশানও।
লড়াই শেষ, প্রয়াত সীতারাম ইয়েচুরি

কলকাতা: লড়াই শেষ। হাসপাতালেই প্রয়াত সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury)। বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। গত ১৯ অগস্ট শ্বাসযন্ত্রে গুরুতর সংক্রমণ ধরা পড়ার পর সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে ভর্তি করানো হয়েছিল দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস)-এ। প্রথম থেকেই আইসিইউয়ে রাখা হয়েছিল তাঁকে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে অবস্থার অবনতি হয়। কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্রের সাহায্য নিতে হয় চিকিৎসকদের। বৃহস্পতিবার দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য নীলোৎপল বসু জানিয়েছেন, সীতারাম আর নেই। দুপুর ৩টে তিন মিনিটে প্রয়াত হন সীতারাম।
বিকেল ৫টায় বৈঠকে ডাকল নবান্ন

কলকাতা: স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় বৈঠকে ডাকল নবান্ন। তাঁদের জানানো হয়েছে, বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার হবে না। তবে তা রেকর্ড করা হবে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেকথাও জানানো হয়েছে। এবং ১৫ জন আন্দোলনকারীকে ডাকার ডাক দিয়েছে নবান্ন। এবার আন্দোলনকারী ডাক্তাররা কি জানায় সেটাই দেখার।
একটি বড় ব্যাগকে কেন্দ্র করে বোমাতঙ্ক আরজি করে

কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে বোমাতঙ্ক! বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতাল চত্বরে পড়ে থাকা একটি বড় ব্যাগকে কেন্দ্র করে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে অন্য দিনের মতোই অবস্থানমঞ্চে বসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। ওই মঞ্চের কাছে হঠাৎই একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়। কিন্তু ওই ব্যাগটি কার, বার বার জিজ্ঞাসা করার পরেও তার সদুত্তর মেলেনি। তার পরেই ব্যাগটিতে বোমা রয়েছে বলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অবস্থানমঞ্চ থেকে সরে যান অনেকেই। যদিও ব্যাগিটিতে কোনও বোমা ছিল না।
জামিন পেলেন মানিক ভট্টাচার্য

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে জামিন পেলেন মানিক ভট্টাচার্য। তবে জামিন পেলেও চারটি শর্ত মেনে চলতে হবে মানিককে। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ তাঁকে জামিন দিয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির পাশাপাশি তদন্ত করেছে সিবিআইও। তবে সিবিআই মানিককে গ্রেফতার করেনি। এই বিষয়ে আগেই সুপ্রিম কোর্টে রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন মানিক। ফলে বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট জামিন দেওয়ায় জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার বিষয়ে কোনও বাধা রইল না তাঁর। তবে কী কী শর্ত মানতে হবে মানিক ভট্টাচার্যকে? *তদন্তকারী অফিসারকে মোবাইল নম্বর দিতে হবে। *নিম্ন আদালতে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। *কোনও সাক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ বা যোগাযোগ করার চেষ্টা করা যাবে না। *কোনও সাক্ষীর উপরে প্রভাব খাটানো বা হুমকি দেওয়া যাবে না। *তদন্তকারী অফিসারের অনুমতি ছাড়া বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না মানিক।