রাজ্য সরকার খোলা মনে বসতে চাইছে, বললেন চন্দ্রিমা

কলকাতা: ইমেল, পাল্টা ইমেল। কিন্তু সমাধান বেরবে কবে? আলোচনার জন্য নবান্নের ইমেলের পাল্টা ইমেল করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তারপরই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং ডিজি রাজীব কুমার। সেই সাংবাদিক বৈঠক থেকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “দুপুরে মুখ্যসচিব মেল করে নবান্নে আসার জন্য আহ্বান জানালেন ১২-১৫ জনকে। কিন্তু সেই মেলের উত্তর এল প্রায় দু’ঘণ্টা পরে। সেখানে কিছু শর্ত দেওয়া হল। সেটি লাইভ টেলিকাস্ট হবে, মুখ্যমন্ত্রীকে থাকতে হবে, তাঁদের দাবিগুলি নিয়েই কথা বলতে হবে। আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই, রাজ্য সরকার খোলা মনে বসতে চাইছে। কোনও শর্ত সাপেক্ষে নয়। খোলা মন এবং শর্ত— দু’টি একসঙ্গে চলতে পারে না। অর্থাৎ, খোলা মন নেই। নির্যাতিতা বিচার পাক— ব্যাপারটি তা নয়। এর পিছনে রাজনীতির খেলা আছে। তাই এতটা সময় লাগছে এত কিছু চিন্তা ভাবনা করতে। তাঁরা খোলা মনে আলোচনা চান না, তাই এই শর্তগুলি আরোপ করা হচ্ছে।” চন্দ্রিমার সংযোজন, “সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, আমরা সেই নির্দেশকে মান্যতা দেব। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। গতকাল বিকেল ৫টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও মুখ্যমন্ত্রী কোনও নেতিবাচক পদক্ষেপ করেননি। সরকারের তরফে কিছু করা হয়নি। কিন্তু, এ বারে সুপ্রিম কোর্ট যা যা বলেছে, সেগুলি মেনে চলতে আমাদের আর কী কী পদ্ধতিগত ব্যাপার রয়েছে, সেগুলির দিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। কোনও রোগীকে বঞ্চিত করা, কোনও সঠিক পদক্ষেপ নয়। জুনিয়র ডাক্তারদের বলব, রাজনীতির উস্কানির মধ্যে পড়বেন না। আপনারা যে মহৎ পেশায় এসেছেন, সেই পেশার কর্তব্য পালন করুন।” পাশাপাশি মুখ্যসচিব বলেন, “গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এখানে, যাতে ওঁরা এলে আলোচনা করা যায়। কিন্তু আজ আবার মেল পেয়েছি। যেখানে কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আপনারা জানেন, কোনও শর্ত রেখে আলোচনা করা যায় না। আমরা চাইছিলাম খোলামনে আলোচনা হোক, তাঁদের উদ্বেগের বিষয়গুলি যাতে শুনতে পারি।”
নবান্নকে পাল্টা ইমেল জুনিয়র ডাক্তারদের

কলকাতা: ইমেল, পাল্টা ইমেল চলছেই। প্রথমে সরকার পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের (Doctors Protest) ১০ জনের প্রতিনিধিদলকে ডাকা হয়েছিল আলোচনার জন্য। পরে, ১২-১৫ জনকে ডাকা হয়। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তারেরা তাঁদের অবস্থানে অনড়। তাঁদের দাবি অন্তত ৩০ জনের প্রতিনিধিদলকে ডাকতে হবে আলোচনায়। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিনেতা-চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ। তিনি জানান, সব মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হয়েছে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। তাই, এই জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের ৩০ জন প্রতিনিধি বৈঠকে যাবে। কিঞ্জলের সংযোজন, “যে বৈঠকের প্রস্তাব এসেছে, সেই বৈঠকে গেলে আমরা কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হব না। আমরা আবার অবস্থান বিক্ষোভ মঞ্চে ফিরব। যাঁরা এখানে অপেক্ষা করে আছেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা আমাদের কর্মবিরতি এবং অবস্থান বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মতামত পরবর্তী সময়ে জানাব।”
ভারত সিরিজ শুরুর আগে কী বললেন লিটন?

স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ সাধারণত কোকাবুরা বলে খেলে অভ্যস্ত। কিন্তু ভারতে এসে এসজি বলে খেলতে হবে। তা নিয়ে বেশ চিন্তায় রয়েছেন লিটন দাস (Liton Das)। মঙ্গলবার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলনের পর লিটন বলেন, “পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খুব ভাল খেলেছি আমরা। তবে সেটা অতীত। ভারতের বিরুদ্ধে খুব কঠিন একটা সিরিজ় খেলতে নামব আমরা। ক্রিকেটার হিসাবে আমি পাকিস্তান সিরিজের কথা ভুলে গিয়েছি। তবে নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস পেয়েছি আমরা।” লিটনের সংযোজন, “ভারত বড় দল। ওখানে আলাদা বলে খেলতে হবে। আমরা সেই বলে খুব একটা খেলি না। বেশ কঠিন হতে চলেছে ব্যাপারটা। সবাই এটা নিয়ে বাড়তি অনুশীলন করছে।” উল্লেখ্য, ভারত-বাংলাদেশ (India vs Bangladesh) সিরিজ শুরু হচ্ছে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে।
হেমা কমিটির উদ্যোগে বিশেষ কমিটি টলিউডে!

কলকাতা: টলিউডে মহিলা শিল্পীদের হেনস্থা নিয়ে সরব হয়েছিলেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। দাবি করেছিলেন এমন এক কমিটির, যেখানে সমস্ত মহিলা শিল্পীরা নিজেদের অভিযোগ নিয়ে খোলাখুলি, নির্ভয়ে কথা বলতে পারেন। সেই বিষয়েই কথা বলতে মঙ্গলবার নবান্নে গিয়েছিলেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কী আলোচনা হল, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্তারিত তা জানিয়েছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। তিনি জানিয়েছেন হেমা কমিটির উদ্যোগে একটি কমিটি গঠন করার চেষ্টা করা হচ্ছে টলিউডে। সেই বিষয় নিয়েই এদিন কথা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। ঋতাভরী সোশ্যাল মিডিয়ায় কী লিখেছেন, দেখে নিন- View this post on Instagram A post shared by Ritabhari Chakraborty (@ritabhari_chakraborty)
কেন দাম বাড়ছে ইলিশের?

কলকাতা: আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। তারপরই রান্নাপুজো বা অরন্ধন উৎসব। আর এই উৎসবে ইলিশ (Hilsa) মাছ মাস্ট। কিন্তু আবহাওয়ার জন্য বেশ ঘাটতি রয়েছে ইলিশের। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে জোগান না থাকায় ইলিশের দামও বেশ চড়া। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নচাপের জেরে বঙ্গোপসাগরে ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৫০কিমি বেগে ঝোড়ো বাতাস বইবে। ফলে সমুদ্র উত্তালই থাকবে। তাই এখনও পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞাই জারি রয়েছে। টানা তিন দিন সমুদ্রে রওনা দেয়নি মৎস্যজীবী ট্রলারগুলি। ফলে ইলিশের ভরা মরসুমে লোকসানের মুখে পড়েছেন মৎস্যজীবীরা। সেই সঙ্গে এর মধ্যে না বেরোতে পারলে ইলিশের ঘাটতি তো হবেই, চড়বে দামও। আজ অর্থাৎ বুধবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে। বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বাকি সব জেলাতে। বৃহস্পতিবারও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলাতে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে প্রায় সব জেলাতে। শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলাতে।